ভিডিয়ো: হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন রোগী, ডাক্তার-নার্স ব্যস্ত মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে!
অভিযোগ, এমার্জেন্সি বিভাগে অসুস্থ রোগীকে না দেখে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত ছিলেন চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে, অসহ্য পেটের ব্যথা নিয়ে সুদূর প্রত্যন্ত শালবাড়ি এলাকা থেকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী। জরুরি বিভাগে বসে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর আত্মীয়রা। এদিকে রোগীর দিকে যেন নজর দেওয়ারই সময় নেই ডাক্তার ও নার্সের। তাঁরা তখন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে কথাবার্তাব মগ্ন। এভাবেই সরকারি হাসপাতালের অনিয়মের চিত্র ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়।
এনিয়ে প্রশ্ন করলে কার্যত সেখান থেকে পালিয়ে যান ওষুধ কোম্পানির কর্মীরা। অন্যদিকে অভিযোগ মানতেই চাননি অভিযুক্ত চিকিৎসক সুপ্রিয়া কুমারী। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় তাঁর আলাপচারিতার দৃশ্য ধরা পড়লেও তিনি কার্যত অস্বীকার করেন সেটা। তবে রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ, একাধিকবার হাঁকডাকের পর রোগীকে দেখতে যান ওই চিকিৎসক। এদিকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের অব্যবস্থা এবং সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার এভাবে ডিউটি চলাকালীন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কিনা সেই প্রশ্ন করা হয় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন মিতালি রায়ের সঙ্গে। তিনি এ বিষয়ে ও খবর নিয়ে পদক্ষেপ করবেন বলে জানান।
ধূপগুড়ি পুরসভার বিরোধী নেতা কৃষ্ণদেব রায়ের প্রতিক্রিয়া, সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের প্রবেশাধিকারই নেই। এই বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে যাওয়ার ব্যাপারেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের। কোন চেম্বারে বা কোথায় তাঁরা অপেক্ষা করতে পারেন এ নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশিকা আছে। কিন্তু ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল যেন এ নিয়মের বাইরে। অন্তত সোমবার সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের দৃশ্য তাই প্রমাণ করল। এদিকে অভিযোগ, শুধু ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালই নয়, জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন হাসপাতালেই মেডিক্যাল রেপ্রিজেন্টেটিভদের অবাধ যাতায়াত দেখা যায়।