Vishwa Hindu Parishad: মন্দির ‘মুক্ত’ করতে অভিযান, দেশ জুড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিশেষ উদ্যোগ, কারা পাবে দায়িত্ব
Vishwa Hindu Parishad: হিন্দুদেরকেই এই মন্দির কমিটির দায়িত্বে রাখতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বৈঠকে। আরও বলা হয়েছে যে, পিছিয়ে পড়া জনজাতি উপজাতিদের এই মন্দির কমিটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কলকাতা: মন্দির মুক্তি অভিযানের ডাক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের মেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক চলে। তিন দিন ধরে চলে সেই বৈঠক। যে সব মন্দির সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, সেগুলি মুক্ত করার দাবি উঠল সেই বৈঠকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেই কর্মসূচির নাম দিয়েছে, ‘মন্দির মুক্তি অভিযান।’
গত ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি- এই তিন দিন ধরে চলে এই বৈঠক। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে সব মন্দির সরকার অধীনস্থ রয়েছে। সেগুলিকে এবার মন্দির কমিটির হাতে হস্তান্তর করতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
বাংলার মন্দিরের পরিসংখ্যানগুলি বের করে আলাদা করে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই মন্দির মুক্তি অভিযান খুব দ্রুত শুরু হওয়ার কথা। বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরগুলি চালানোর দায়িত্ব সরকারের হাত থেকে যাক মন্দির কমিটির। যাঁরা স্বাধীন কমিটি হবে।
যদি ওই মন্দিরগুলির কোনও আলাদা কমিটি না থাকে, তবে নতুন কমিটি তৈরি করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তহবিল বা ফান্ড যা আসবে, তা মন্দির কমিটি বা ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দিরের উন্নতি জন্য ব্যবহার করতে হবে। হিন্দুদেরকেই এই মন্দির কমিটির দায়িত্বে রাখতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বৈঠকে। আরও বলা হয়েছে যে, পিছিয়ে পড়া জনজাতি উপজাতিদের এই মন্দির কমিটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মন্দির পরিচালনায় সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ করা চলবে না।
পরিসংখ্যান বলছে, মন্দিরের অর্থনীতি জিডিপিতে ২.৩২ শতাংশ অবদান রাখে। ভারতে প্রায় ১৮ লক্ষ ছোট-বড় মন্দির আছে, এছাড়া ৩৩ হাজার বিশেষ মন্দির আছে, ৫২ টি শক্তিপীঠ রয়েছে, ১২ টি জ্যোতির্লিঙ্গ আছে। হিসেব বলছে, শুধু তীর্থযাত্রায় বছরে ৪.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেন হিন্দুরা, আর তা থেকে ৪ কোটি মানুষের কর্মংস্থান হয়। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অনুসারে এই তথ্য উঠে এসেছে।





