জেলের ভিতর ঝুলছে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া বন্দির দেহ, রক্তে ভেজা পা

 শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গত মঙ্গলবারই তাঁকে মালদা সংশোধনাগারে আনা হয়। বুধবার সকালে সুকুমারের গামছায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ আবিষ্কার হয়। মৃত সুকুমারের পা রক্তে ভরা ছিল বলে জানা গিয়েছে।

জেলের ভিতর ঝুলছে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া বন্দির দেহ, রক্তে ভেজা পা
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 3:36 PM

মালদা: সংশোধনাগার (Reformatory) থেকে ফের উদ্ধার বন্দির ঝুলন্ত দেহ। গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে নিজের সেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করেছেন (Suicide) ওই বন্দি। এমনটাই প্রাথমিক অনুমান জেল কর্তৃপক্ষের।

সংশোধনাগার সূত্রে খবর, সুকুমার মণ্ডল নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই বন্দি (prisoner) বামনগোলার বাসিন্দা। শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গত মঙ্গলবারই তাঁকে মালদা সংশোধনাগারে আনা হয়। বুধবার সকালে গামছায় ফাঁস দেওয়া সুকুমারের ঝুলন্ত দেহ আবিষ্কার করেন কারারক্ষীরা। সুকুমারের পা রক্তে ভিজেছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে কীভাবে সেই রক্ত এল তা পরীক্ষাসাপেক্ষ বলে দাবি পুলিশের।

মৃত বন্দির পরিবারের অভিযোগ, সুকুমারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশের অত্যাচারের জন্যই প্রাণ গিয়েছে তাঁর। মালদার ডেপু্টি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস জানান, মৃতদেহটি ময়ানতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে বন্দির পায়ে রক্ত এল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে, প্রশ্ন উঠছে বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই সংশোধনাগারের বন্দির মৃত্যু বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সম্প্রতি নদিয়া জেলার রানাঘাট এবং করিমপুরের তেহট্ট সংশোধনাগার থেকেও দুই বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই বন্দিদের মানসিক অবসাদকেই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন: সংশোধনাগারের রান্নাঘরে বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! চাঞ্চল্যে রানাঘাটে