অভিনব কায়দায় এটিএম লুঠ, নাটকীয় পন্থায় পাকড়াও তিন দুষ্কৃতী

শুধু বাংলায় নয়, এই চক্রটির পেছনে একটি বড় দল থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ

অভিনব কায়দায় এটিএম লুঠ, নাটকীয় পন্থায় পাকড়াও তিন দুষ্কৃতী
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 11, 2021 | 12:08 AM

পশ্চিম মেদেনীপুর: গভীর রাতে এটিএমের (ATM) টাকা ভেঙে লুঠ করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ল তিন মূল চক্রী। নাটকীয় কায়দায় দাসপুর থেকে ধৃত মোস্তাক, ইমতিয়াজ ও মিথুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে দাসপুরের গৌরিতে এটিএম (ATM) ভেঙে টাকা লুঠের চেষ্টা করে ওই তিন দুষ্কৃতী। অ্যালার্ট মেসেজ পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলেই ধৃতদের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিও চলে। ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে করে ওই দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করতেই তাদের অনুসরণ করে পুলিশ। সোনাপুর থেকে গাড়ি সমেত তাদের গ্রেফতার করা হয়।ধৃতদের থেকে গ্যাস কাটার, গ্যাস সিলিন্ডার, একটি পিস্তল এবং দুটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাদামাঠা চেহারা, সদা হাস্য মুখ, পালিয়ে বিয়ে! বোমারু মিজানের গা-হিম করা গল্প

ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, এটিএম কাণ্ডের মূল তিন চক্রী হল মোস্তাক, ইমতিয়াজ ও মিথুন। প্রত্যেকেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। ধৃত মোস্তাক হরিয়ানার, ইমতিয়াজ বিহারের এবং মিথুন অসমের বাসিন্দা। এরা তিনজন ছাড়াও দলে আরও তিনজন আছে। যদিও মোস্তাক-ই এই দলটির প্রধান পান্ডা।

জানা গিয়েছে, চুরির জন্য অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করত মোস্তাক ও তার দলবল। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন পরিচয়ে দীর্ঘদিন থেকে সেখানকার হালহকিকত জরিপ করত তারা। তারপর সুযোগ বুঝে এটিএম লুঠ করে অন্য রাজ্যে চম্পট। মোস্তাকদের ব্যবহার করা গাড়িটিও অবৈধ। এলাকা বুঝে বদলে যেত নম্বর প্লেট। লুঠ হলেও তাই পুলিশের নাগালের বাইরে ছিল মোস্তাকরা।

আরও পড়ুন: নার্সিং ট্রেনিংয়ের পর হাসপাতালে নয়, কাজ জুটছে রাঁধুনীর, কাঠগড়ায় ট্রেনিং সেন্টার

বুধবার, সাংবাদিক বৈঠকে মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, বিভিন্ন সময়ে যে এটিএম (ATM) লুঠ হচ্ছে তার মূল তিন চক্রীকে গ্রেফতার করা গেলেও বাকিদের খোঁজ চলছে। শুধু বাংলায় নয়, এই চক্রটির পেছনে একটি বড় দল থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও যে এটিএম লুঠ হচ্ছে তার পেছনে এই দলটিই যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।