হাওড়া: ‘প্রেমকে’ বাঁচাতে স্বামীকে খুন? হাওড়ায় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে ঘনীভূত হল রহস্য।
ঘটনাস্থান লিলুয়া। মৃত ব্যক্তি পেশায় লেদ কারখানার মালিক ছিলেন । সুকান্তপল্লীতে স্ত্রী-কে নিয়ে থাকতেন তিনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকার অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে ব্যক্তির স্ত্রীর। যা জানতে পেরে যান স্বামী । স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি জানার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।
গতকাল, বিকেলে প্রতিবেশীরা মৃতের বাড়ি গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। মাথা থ্যাতলানো ও তাঁর সারা শরীরে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন।
এক প্রতিবেশী জানান, ” আমাকে ডেকে আনে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী। বাড়িতে গিয়ে দেখি মাটিতে পড়ে রয়েছে তাঁর দেহ । ওর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করি কী হয়েছে ? আমায় বলে যে জানি না কেন কথা বলেছে না। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার ছেলেদের ডেকে নিয়ে আসি। কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখি ওই ব্যক্তির মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় রক্তের দাগ, হাত এবং পা সাদা হয়ে গিয়েছে। তখন তাঁর স্ত্রী জানায়, গলায় দড়ি দিয়েছিল তার স্বামী। সেই দড়ি কেটে সে নিজেই নামিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত প্রেমিকও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চলে এসেছিল বলে আমাকে জানানো হয়।”
ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে। আটক করা হয় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে। ইতিমধ্যেই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “অভিযুক্ত যুবক ছিল ব্যবসায়ীর বন্ধু। সে পেশায় ভ্যান চালক। প্রায় প্রতিদিনই ব্যবসায়ীর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে আসত সে। সারাদিনই এই বাড়িতে পড়ে থাকত ছেলেটি। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ছিল ব্যবসায়ীর স্ত্রী। মৃতের স্ত্রী এবং তার বন্ধু মিলেই খুন করছে । বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে অভিযুক্ত প্রেমিকের অ্যাম্বুলেন্সেই স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্ত্রী। আমার ধারণা ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে । আসল সত্যিটা জানতে আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। গতকালই সামনে আসে পুরুলিয়ার ঘটনা। বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার মহিলা চিকিৎসকের পচা গলা দেহ। জানা গিয়েছিল কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক। আবাসনের দরজাও ছিল বন্ধ। পরে আবাসনের পাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। সময় যত বেশি অতিক্রান্ত হচ্ছিল দুর্গন্ধ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে প্লাস্টিকে মোড়া ওই ব্যক্তির মহিলার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ মনে করে এই ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত তাঁর স্বামী। পরকীয়ার জেরেই হয়ত এই খুন এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: India corona Update: দেশে মৃত্যু বেড়ে ৩০৯! একদিনে আক্রান্ত ৩০ হাজারের বেশি
আরও পড়ুন: Shashi Tharoor on Congress President: ‘নেতৃত্ব দিতে চাইলে, সিদ্ধান্ত এখনই নিক রাহুল’