বাগদা: গোটা রাজ্যে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন(Violence against women) বড়সড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। গত কয়েক মাসে একের পর এক জেলা থেকে আসছে ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির খবর। এমতাবস্থায় এবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল বাগদা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 pargana) বাগদা থানা (Bagda Police Station) এলাকার এক তরুণীর ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওই গ্রামেই। তাঁর একটি ৮ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে ওই এলাকারই বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও তৈরি হয়। কিন্তু তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এর আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে গত ৪ এপ্রিল ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।
গত ২৬ তারিখ এই মামলায় জামিনও পায় মূল অভিযুক্ত। এরপরেও থেমে থাকেনি মূল অভিযুক্ত। অভিযোগ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই তরুণীর বাড়িতে বলপূর্বক ঢোকে অভিযুক্ত যুবক। বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ফের জোর করে ধর্ষণ করে। এমনকী তরুণীকে আটকে রাখারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে নিস্তার পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় নির্যাতিতা। এরপরেই সোমবার গভীর রাতে বাগদা থানায় আবার ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিজিতের বিরুদ্ধে। তরুণীর অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত অভিজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে বাগদা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয় মূল অভিযুক্তকে। তার ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
এই প্রসঙ্গে, বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী শাওন কুমার ঘোষাল বলেন, “প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এমনকী তরুণীর কাছ থেকে বহু টাকা হাতিয়েও নিয়েছে ওই যুবক। ওই আগের মামলায় জামিন পাওয়ার পরেই ফের ওই তরুণীর বাড়িতে জোরপূর্ব ঢুকে ফের তাকে ধর্ষণ করে। এই ধরনের নক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে তা সমাজের জন্য খুবই খারাপ। আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি”।