AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Columbia Ship Wrek: সমুদ্রের তলদেশে মিলল সোনাভর্তি জাহাজ, লুকিয়ে ছিল ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ

Columbia Ship Wrek: কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলের কাছেই সন্ধান পাওয়া গেল দুটি ডুবে যাওয়া জাহাজের, যেখানে লুকিয়ে রয়েছে অন্তত ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সোনাদানা। বিখ্যাত স্পেনিয় জাহাজ বহর 'সান হোসে' যেখানে ডুবে গিয়েছিল, ঠিক তার কাছেই এই দুটির ধ্বংসাবশেষ মিলেছে।

Columbia Ship Wrek: সমুদ্রের তলদেশে মিলল সোনাভর্তি জাহাজ, লুকিয়ে ছিল ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ
২০০ বছর ধরে অক্ষত রয়েছে সমুদ্রের নিচে
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2022 | 6:25 PM
Share

বোগোতা: সমুদ্রের গভীরে মিলল খাজানার খোঁজ। কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলের কাছেই সন্ধান পাওয়া গেল দুটি ডুবে যাওয়া জাহাজের। ‘দ্য নিউজউইক’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে লুকিয়ে রয়েছে অন্তত ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সোনাদানা। বিখ্যাত স্পেনিয় রণতরী ‘সান হোসে’ যেখানে ডুবে গিয়েছিল, ঠিক তার কাছেই এই জাহাজ দুটির ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। প্রসঙ্গত, ১৭০৮ সালে এই স্পেনীয় জাহাজ বহর সান হোসে-কে ডুবিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশরা। বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রীতে ঠাসা ছিল জাহাজ বহরটি। ২০১৫ সালে সান হোসের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

জানা গিয়েছে, একটি রিমোট কন্ট্রোলড যানকে সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ৩ হাজার ১০০ ফুট গভীরে পাঠিয়ে ওই ডুবে যাওয়া জাহাজদুটির ভিডিও তোলা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি জাহাজের খোল অংশটি দীর্ঘদিন জলের তলায় থাকলেও, এখনও অক্ষত রয়েছে। তবে, তার গায়ে জমেছে পুরু শেওলা। সমুদ্রের তলদেশে ধ্বংসাবশেষ এলাকায় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা, মৃৎপাত্র ও চিনামাটির কাপ-প্লেটের ভাঙা অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া রয়েছে বেশ কিছু অক্ষত কামান, চিনামাটির বাসন-কোসন, এবং সোনা-রুপোর তৈরি আরও কিছু দ্রব্য। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ক্যারিবিয়ান সাগরের নিচে অন্তত ২০০ বছর ধরে ডুবে রয়েছে জাহাজদুটি। আর এর মধ্যে কোনও জন-মানুষের হাত পড়েনি সেখানে।

কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি ইভান ডুক জানিয়েছেন, কলম্বিয়ান নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জাহাজ দুটিই ঔপনিবেশিক যুগের। প্রায় ২০০ বছর আগে, যখন স্পেনের বিরুদ্ধে কলম্বিয়ার স্বাধীনতার যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, জাহাজগুলি সেই সময়ই ডুবে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কলম্বিয়ান নৌবাহিনীর কমান্ডারের মতে, এই নয়া আবিষ্কার প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের পথ খুলে দিয়েছে।

তবে, এই ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ কারা পাবে, তাই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কলম্বিয়ার পাশাপাশি স্পেন এবং বলিভিয়ার এক আদিবাসী গোষ্ঠীও এই সোনার উপর দাবি জানাচ্ছে। স্পেন ইতিমধ্যেই বলেছে, এই গুপ্তধন তাদের। কারণ সেগুলি স্প্যানিশ জাহাজ থেকেই পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, বলিভিয়ার আদিবাসী ‘কাহারা কাহারা’ জনজাতির দাবি, স্পেনীয় ঔপনিবেশিকরা তাদের পূর্বপুরুষদের ওই সোনাদানা খুঁড়ে তুলতে বাধ্য করেছিল। তাই ওই সম্পদ তাদেরই প্রাপ্য। তবে, কলম্বিয়া সাফ জানিয়েছে, তাদের জলসীমানার মধ্যে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। কাজেই ওই খাজানা তাদেরই। আর, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হওয়ায়, ওই সম্পদ বিক্রিও করা যাবে না। কলম্বিয়ান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, কলম্বিয়ার উপকূলে পাওয়া সান হোসে জাহাজ বহর এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ নিয়ে তারা একটি পৃথক জাদুঘর তৈরি করবে।

এর আগে ২০১৫ সালে সান হোসে গ্যালিয়নের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করা হয়েছিল প্রায় একই জায়গা থেকে। ১৭০৮ সালে কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান বন্দর কার্টেজেনার কাছে জাহাজটি ডুবে গিয়েছিল। পানামার পোর্টোবেলো থেকে ১৪টি স্প্যানিশ বণিক জাহাজ এবং তিনটি রণতরী নিয়ে স্পেনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। বারুর কাছে ব্রিটিশ স্কোয়াড্রনের মুখোমুখি হয়েছিল স্পেনীয় জাহাজ বহরটি। শুরু হয়েছিল মারাত্মক যুদ্ধ। সান হোসে-তে প্রায় ৬৪টি কামান থাকলেও, নিজেদের বারুদেই আগুন লেগে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটেছিল স্পেনীয় রণতরীতে। সেখানেই ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। ৬০০ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে মাত্র ১১ জন জীবিত ছিলেন।