ইসলামাবাদ: কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের (Pakistan) মসনদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। নানাভাবে চেষ্টা করেও গদি ধরে রাখতে পারেননি এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। ইতিমধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ। ইমরান তাঁর দলের কর্মী সমর্থক ও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে পথে নামতে বলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে লড়তে হবে। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দেশের অর্থনীতি তাঁর আমলে দুর্বল হয়েছে এবং দেশের বৈদেশিক নীতির অবস্থা যথেষ্ট খারাপ হয়েছে। অনাস্থা ভোটে ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হলেও তাঁর জনভিত্তি যে এখনও অনেকটা অটুটু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ‘গলআপ পাকিস্তান’ (Gallup Pakistan) নামে একটি সংগঠনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ইমরানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়াকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ। তাদের মতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান যথেষ্টই সৎ ছিলেন। তবে ওই সমীক্ষাতেই প্রকাশিত হয়েছে, দেশের ৫৭ শতাংশ মানুষ ইমরান সরে যাওয়ায় খুশি।
গত শনিবার, রাতে আস্থা ভোটের ঠিক পরেই দেশের ১০০ টি জেলায় এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, মোট এক হাজার জন পুরুষ ও মহিলার মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ওই সমীক্ষায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরানের সরে যাওয়ায় যাঁরা অখুশি, তাদের বেশিরভাগই মনে করেন, ইমরান খান একজন সৎ রাজনীতিবিদ। যারা ইমরানের বিপক্ষে মতামত জানিয়েছেন, তাদের মতে বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের শাসনকালে দেশের আর্থিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়েছে। বুধবার পেশোয়ারে একটি জলসায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা। চলতি মাসের ২১ তারিখ প্রকাশ্য জনসভা করবেন ইমরান। সেই জনসভা থেকে বড় কোনও ঘোষণা করতে পারেন তিনি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইমরান খানকে পদ থেকে সরানো হলেও পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের ৮ জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের সেনা প্রধান জেনারেল জাভেদ বাজওয়ার বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি জানিয়েছে, তাদের কাছে ৫০ জনের একটি তালিকা রয়েছে। ওই ৫০ জন সোশ্যাল মিডিয়াতে পাক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।