কিয়েভ: বিপন্ন দেশের স্বাধীনতা। রুশ আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খোদ প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যেতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষও। এমনই এক ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়, যেখানে অশীতিপর এক বৃদ্ধও যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য নিজের নাম নথিভুক্ত করতে এসেছেন। ওই বৃদ্ধের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটাগরিকরা। তবে ওই বৃদ্ধের কথায়, তিনি দেশের জন্যই লড়াই করতে চান। কারণ তাঁর বাড়িতে ছোট ছোট নাতিরা রয়েছে। তাদের তো একটা উজ্জ্বল ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ দিতে হবে। সেই কারণেই তিনি এই বয়সেও যুদ্ধে যেতে রাজি।
ইউক্রেনের কোথায় এই ঘটনাটি ঘটেছে, তা জানা না গেলেও, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শহরের কোনও একটি প্রান্তে ইউক্রেনীয় সেনারা যে বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করেছেন, সেখানেই একটি ব্যাগ হাতে হাজির হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর ওই ব্যাগের মধ্যে ছিল দুটি টি-শার্ট, একজোড়া প্য়ান্ট, দাঁত মাজার একটি ব্রাশ ও কয়েকটি স্য়ান্ডউইচ। তিনি জানান, নিজের নাতিদের যেমন ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চান, তেমনই আগামী প্রজন্মও যাতে রক্তক্ষয়ী এমন দিন আর না দেখে, তার জন্যই তিনি যুদ্ধে যেতে চান।
Someone posted a photo of this 80-year-old who showed up to join the army, carrying with him a small case with 2 t-shirts, a pair of extra pants, a toothbrush and a few sandwiches for lunch. He said he was doing it for his grandkids. pic.twitter.com/bemD24h6Ae
— Kateryna Yushchenko (@KatyaYushchenko) February 24, 2022
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি কাতেরানিয়া ইয়োস্খিনকোও। সোশ্যাল মি়ডিয়া ব্যবহারকারীরা ওই বৃদ্ধের দেশাত্ববোধকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বাকিরাও যাতে এভাবেই এগিয়ে আসেন এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ান, সেই অনুরোধ করেছেন নেটাগরিকরা।
God bless Ukraine and all her faithful defenders.
— Marcia G ?? #VeryAsian (@gainesm) February 25, 2022
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপরে হামলা শুরুর পরই প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি দেশবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সকলে যেন এগিয়ে আসেন। দেশের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। যারা যুদ্ধে যোগ দিতে পারছেন না, তাদেরও আত্মরক্ষার জন্য পেট্রোল বোমা মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়ে রুশ সেনা। শহরের ভিতরে ও সীমানার পার্শ্ববর্তী একাধিক অঞ্চলেও সংঘর্ষ হয়। এয়ারস্ট্রাইক চালাতে পারে রাশিয়া, এই আশঙ্কায় কিয়েভের বাসিন্দাদের নিরাপদ কোনও জায়গায়, প্রয়োজনে শহরের একাধিক স্থানে যে বাঙ্কার খুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।