আবু ধাবি: ইরানের সঙ্গে দ্বন্দের মাঝেই নতুন কূটনৈতিক সম্পর্কের পথে ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং আরব আমিরশাহির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কে মধ্যে দু’ঘণ্টা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও চার ঘণ্টা ধরে সেই বৈঠক চলেছে বলেই জানা গিয়েছে। এই বৈঠক ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ এই প্রথম কোনও ইজরায়েলি নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে আরব আমিরশাহিতে পা রাখলেন। সরকারে আসার পর থেকে ক্রমেই আরবের দেশ গুলির সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
আমিরশাহি থেকে ইজরায়েলে ফেরার সময় ভিডিয়ো বার্তায় ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনেট জানিয়েছেন, “আমি ইজরায়েলে ফিরে যাচ্ছি, আমি আশাবাদী আমাদের সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।” ইজরায়েলি এক আধিকারিক জানিয়েছেন বৈঠকে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন দ্বন্দ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কোন বিষয়ে আলোচনা হয়ে তা স্পষ্ট করে বলেননি ওই আধিকারিক।
দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক চলাকালীন সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে প্রকাশিত ছবিতে আলোচনা মাঝেই দুজনকেই হাসতে দেখা গিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে দুই দেশ গবেষণা, উন্নয়ন ও ব্যবসা নিয়ে কাজ করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান আমিরশাহির জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরব আমিরশাহির আশঙ্কা, ইরান পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে পারে। সেই আশঙ্কার কথাও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ইজরায়েলের সঙ্গে ইরানে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে, তাই ইরান সেই অর্থে ইজরায়েল বিরোধিতায় রাস্তায় হাঁটবে না। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনায়ক বাণিজ্যের পাশাপাশি, অর্থনীতি, জলবায়ু ও খাদ্য নিরপত্তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।