Kabul Blast: কাবুলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ, মৃত ১৯, আহত ২৭
Suicide Attack: শুক্রবার সকালে কাবুলের পশ্চিমাংশে দস্ত-ই-বারচি এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে মূলত সংখ্য়ালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের বাস।
কাবুল: ফের আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটল আফগানিস্তানে কাবুলে। শুক্রবার সকালে কাবুলের পশ্চিমাংশে দস্ত-ই-বারচি এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে মূলত সংখ্য়ালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের বাস। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা যখন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিল তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। তাতেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ পরবর্তী যে সমস্ত ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে, চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ। আহতদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঘটনা নিয়ে পুলিশের মুখপাত্র খদিল জাদরান বলেছেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পড়ুয়ারা। সে সময়ই এক আত্মঘাতী বোমারু সেখানে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়. ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জন গুরুতর আহত।” আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীন মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল নাফি টেকর ঘটনার পরই টুইটে লিখেছিলেন, “নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। হামলার ধরন এবং ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে শীঘ্রই জানানো হবে। সাধারণ মানুষের উপর হামলা প্রমাণ করে শত্রুদের নৃশংসতা, অমানবিকতা।”
আমেরিকার সেনা সরে যেতেই ঘানি সরকারের পতন ঘটে। আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। তার পর থেকে সে দেশের রাজধানী কাবুল-সহ বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজকের বিস্ফোরণ ঘটেছে হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায়। তালিবানের বিরোধী ইসলামিক স্টেট প্রায়শই হামলা চালায় এই সম্প্রদায়ের উপর। হাজারাদের ধর্মবিরোধী বলে মনে করে তাঁরা। তালিবান ক্ষমতায় আসার আগে এই দস্ত-ই-বারচি এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছিল। সেই ঘটনায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩০০।