
ঢাকা: শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার? শেখ হাসিনার রায়দানের আগেই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির সামনে হাজির পে-লোডার। আগেই ভেঙে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল মুজিবরের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়ি। এবার কি করতে পে-লোডার আনা হল?
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলার রায়দান চলছে। ৪৫৩ পাতার রায় পড়ে শোনাচ্ছেন বিচারপতি। তার মধ্যেই দেখা গেল, ধানমন্ডির বাড়ির সামনে দুটি এস্কেভেটর বা পে-লোডার। পুলিশ সূত্রে খবর, ধানমন্ডির বাড়ির যে অবশিষ্টাংশ রয়েছে, তা গুঁড়িয়ে দিতেই এই পে লোডার আনা হয়েছিল। তবে পুলিশি ব্যারিকেড থাকায় তারা ঢুকতে পারেনি। পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।
ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনার কার্যত সংঘর্ষ বেঁধেছে। মুখোমুখি দুই পক্ষ। ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। ক্ষুব্ধ জনতা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। একাধিক বিক্ষোভকারী ও পুলিশ আহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। সেই সময় রাতের অন্ধকারে পে-লোডার দিয়ে ধানমন্ডির বাড়ি ও মিউজিয়াম ভাঙা হয়েছিল। এরপর আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে চলতি সপ্তাহ থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকা থেকে শুরু করে সিলেট, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়ায় সাতটি বাস, ভ্যান ও অ্যাম্বুল্যান্সে পর্যন্ত আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ককটেল বোমা ছোড়া হয়েছে বিভিন্ন রাস্তায়। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার বাড়িও ছাড় পায়নি। রবিবার থেকে বাংলাদেশ শাটডাউনের ডাক দিয়েছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা ও বিজিবি-ও নেমেছে পথে। কড়া হাতে আন্দোলন দমন করা হবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ককটেল বোমা ছুড়তে বা কোথাও আগুন ধরাতে দেখলে গুলি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।