AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ‘মঙ্গলে’ হিন্দুত্বের গন্ধ, মৌলবাদীদের হুঙ্কারে বাংলাদেশে নববর্ষের শোভাযাত্রারও নাম বদলে গেল রাতারাতি

Bengali New Year: মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না।

Bangladesh: 'মঙ্গলে' হিন্দুত্বের গন্ধ, মৌলবাদীদের হুঙ্কারে বাংলাদেশে নববর্ষের শোভাযাত্রারও নাম বদলে গেল রাতারাতি
মঙ্গল শোভাযাত্রা।Image Credit: NurPhoto/NurPhoto via Getty Images)
| Updated on: Apr 12, 2025 | 12:02 PM
Share

ঢাকা: হিন্দুত্ব নিয়ে এত আপত্তি? মৌলবাদীদের হুমকি, বাংলাদেশে নববর্ষের অনুষ্ঠানের নামও বদলে দেওয়া হল হিন্দুত্বের ছোঁয়াচ এড়াতে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাদী শোভাযাত্রা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে দেওয়া হল। এবার থেকে অনুষ্ঠানের নাম হচ্ছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে বাংলা নববর্ষের দিনে এই বিরাট শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তবে এই বছর ওপার বাংলায় নববর্ষ সম্পূর্ণ আলাদা। হাসিনা সরকারের পতনের পর, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার তোল্লাই দিয়েছে মৌলবাদীদের। আর সেই মৌলবাদী আস্ফালনের ফলই ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম বদল।

মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিমের বক্তব্য, কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ। মূর্তি সহ ইসলাম অসমর্থিত সব বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।

যদিও মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আলাদা করে নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে না। পুরনো নাম ও ঐতিহ্যতেই ফেরত আনা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালের পয়লা বৈশাখ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা হয়েছিল। শুরুতে এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে নব্বইয়ের দশকে অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করে, মঙ্গলের আহ্বান করার জন্য এই শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে মঙ্গল শোভাযাত্রা রাখা হয়।

২০১৬ সালে ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য়ের অন্তর্ভুক্ত করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। রমনার ছায়ানট থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েক চারুকলা অনুষদের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসি-তে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়।