ঢাকা: মৌলবাদের মাত্রা কতটা? যদি ভাবতে বসা হয়, তাহলে পাওয়া যাবে মৌলবাদ চরিত্রটাই আসলে মাত্রাছাড়া। এর কোনও সীমানা নেই। বর্তমানে সেই ধারণারই বাস্তবায়ন ঘটাচ্ছে ইউনূসের বাংলাদেশ। ব্যান্ড বাজিয়ে হিন্দুদের উপর সেখানে চলছে আক্রমণ। এমনটাও কি কখনও হতে পারে? ভাবতে অস্বাভাবিক লাগলেও হচ্ছে! তাও আবার পড়শি দেশ বাংলাদেশে।
প্রত্যেকের হাতে লাঠিসোঁটা। কেউ কেউ তো আবার দাঁড়িয়ে রয়েছে ধারালো অস্ত্র হাতে। তারস্বরে বাজছে ঢাক-ঢোল। শুনে মনে হবে উৎসবের আবহ। কিন্তু এমনটা নয়। এটা শঙ্কার আবহ, এটা উত্তেজনার আবহ। এই ব্যান্ড বাজিয়ে নাচ-গান করতে করতে হিন্দুদের ঘর-বাড়ি ভাঙছে মৌলবাদীরা। তাদের কাছে এটা উৎসব সমান। চলছে লুঠপাটও।
ঘটনা বাংলাদেশের ঢাকার অন্তর্গত টাঙ্গাইল জেলার। সেখানে নতুন করে নির্যাতনের শিকার হিন্দুরা। এদিন ব্যান্ড বাজিয়ে স্থানীয় হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণ চালাল মৌলবাদীরা। ভেঙে দেওয়া হল ঘর-বাড়ি। লুঠ হল যাবতীয় জিনিপত্র। ইতিমধ্যে, সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে বেশ ভাইরাল হয়েছে সেই আক্রমণের ভিডিয়োটি। যা দেখে মাথায় হাত পড়েছে নেটিজেনদের। নির্যাতনের এমন দৃশ্য কার্যত বিরল।
উল্লেখ্য, পালাবদলের পর থেকেই বাংলাদেশের অন্দরে বাড়ছে অস্থিরতা। এমনকি, সীমানাতেও এসে ঠেকছে তার প্রভাব। যার জেরে আশঙ্কা বাড়ছে ভারতের অন্দরে। ইউনূসের সরকার গঠনের পর থেকে যেন বাড়তি স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছে সেদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি। নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে তারা, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন ও নিধনের মতো ঘটনা। মূলত, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামিক রাষ্ট্র করতে তৎপর ইউনূূস, দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর সেই স্বপ্ন সত্যি করতে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দকে রদ করতে উঠে পড়ে লেগেছে তাঁরা।