Pakistan Train Hijack Video: কীভাবে আস্ত একটা ট্রেনই হাইজ্যাক করে নিল বালুচ জঙ্গিরা? প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 12, 2025 | 4:35 PM

Pakistan Train Hijack: বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির মজিদ ব্রিগেড অপহরণের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এখনও ২১৪ জন যাত্রীকে বন্দি বানিয়ে রাখা হয়েছে। কমপক্ষে ৩০ জন পাক নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। যদিও পাক সরকার এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।

Pakistan Train Hijack Video: কীভাবে আস্ত একটা ট্রেনই হাইজ্যাক করে নিল বালুচ জঙ্গিরা? প্রকাশ্যে ভিডিয়ো
এভাবে হাইজ্যাক করা হল ট্রেন।
Image Credit source: X

Follow Us

ইসলামাবাদ: সিনেমার পর্দায় দেখা যায় দস্যুরা ট্রেন ছিনতাই করছে। বাস্তবেই তা হল পাকিস্তানে। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি ছিনতাই করে নিয়েছিল আস্ত একটা ট্রেন। বন্দি বানিয়ে নিয়েছিল ট্রেনের ৪৫০ জন যাত্রীকে। এখনও পর্যন্ত ১৫৫ জন বন্দিকে উদ্ধার করা গিয়েছে। খতম করা হয়েছে ২৭ জন জঙ্গিকে। এবার পাকিস্তানের ট্রেন ছিনতাইয়ের ভিডিয়ো প্রকাশ করল বালুচ লিবারেশন আর্মি।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জাফর এক্সপ্রেসের চারপাশে বিএলএ যোদ্ধারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আট নম্বর সুড়ঙ্গ পার করতেই  ট্রেনের পাশে  বিস্ফোরণ হয়। দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। দেখা যায়, জঙ্গিরা বন্দুক নিয়ে ট্রেনে চড়াও হয় এবং ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামাতে থাকে।

বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির মজিদ ব্রিগেড অপহরণের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এখনও ২১৪ জন যাত্রীকে বন্দি বানিয়ে রাখা হয়েছে। কমপক্ষে ৩০ জন পাক নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। যদিও পাক সরকার এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।

কী ঘটেছিল?

প্রতিদিনের মতো, গতকাল, ১১ মার্চ, জাফর এক্সপ্রেস কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।  ট্রেনটি যখন সিবির ব্যালন পাহাড়ের একটি সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন অতর্কিতভাবে বালোচ আর্মির ৮ জন সশস্ত্র জঙ্গি ট্রেনে হামলা করে। জাফর এক্সপ্রেসের ৯টি কোচে ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন।

বোলান কোয়েটা এবং সিবির মধ্যে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ একটি পাহাড়ি এলাকা রয়েছে। এখানে ১৭টি সুড়ঙ্গ রয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে রেলপথটি যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ার কারণে, এখানে ট্রেনের গতি প্রায়শই ধীর থাকে।

জঙ্গিরা পিরু কুনরি এবং গুডলারের পাহাড়ি এলাকার কাছে একটি সুড়ঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে ছিনতাই করে। জাফর এক্সপ্রেসের ৯টি কোচে ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন। পরে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে।