Muhammad Yunus: বাংলাদেশে বিরাট বিস্ফোরণ! সেনা প্রধানের বুকে পাথর, ইউনুসের নামেই শেষমেশ রাজি হতে হল?
Bangladesh: আসিফ মাহমুদ বলেন, "আওয়ামি লীগ একটা লোককে একেবারেই দেখতে পারছে না এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ লোক আওয়ামি লিগকে সমর্থন করে। এই ৩০-৪০ শতাংশের মানুষের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে কি একটা লোককে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত?"

ঢাকা: বাংলাদেশে একটা ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে। রাজনৈতিক ও সামরিক পরিমণ্ডলে এই বিস্ফোরণের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সর্বেসর্বা মহম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তিনি। কিন্তু এই পদে তাঁকে নাকি একেবারেই দেখতে চাননি সেই দেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান! কেন চানইছেন না, সে কথাও নাকি স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন জেনারেল ওয়াকার। চাঞ্চল্যকর এমন দাবিই করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আর এই দাবি সামনে আসতেই কাঁপছে সে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক মহল।
২০২৪ সালের অগস্ট মাসে বাংলাদেশ তোলপাড় হয়ে যায়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে ৫ অগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার আওয়ামি লীগ সরকারের। বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন ভারতে।
আর হাসিনা সরকারের পতনের পর সেনাবাহিনীর হাতেই দেশের নিয়ন্ত্রণ ছিল। সাংবাদিক সম্মেলন করে দেশবাসীকে সেদিন শান্ত হতে এবং আশ্বস্ত থাকার বার্তা দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার। সেদিন বাংলাদেশের সেনা প্রধান চাননি যে বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি হোক। সেই কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলা হয়েছিল। ক্যানটনমেন্টে এরপর সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশের সঙ্গে আলোচনাতে বসতে দেখা যায় সেনা প্রধানকে। এরপরই সামনে আসে যে অন্তরবর্তীকালীন সরকারের শীর্ষপদে আসীন হবেন নোবেলজয়ী ডঃ মহঃ ইউনুস। কিন্তু সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেও, সেই সরকারের প্রধান হিসাবে মহম্মদ ইউনূসকে নাকি চাননি, এমনটাই দাবি। পরে ছাত্রদের দাবি মেনেই বুকে পাথর রেখে ইউনূসকে প্রধান পদে মেনে নেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কথায়, তিনি বলেছিলেন, “মহম্মদ ইউনূসের নামে মামলা রয়েছে। তিনি দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি। কনভিক্টেড ব্যক্তি কীভাবে একটা দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন?” একটি ভিডিয়োতে আসিফ মাহমুদকে সেনাপ্রধান প্রসঙ্গে এই করতে শোনা গিয়েছে।
আসিফ মাহমুদের আরও দাবি, জেনারেল ওয়াকার সেদিন মহম্মদ ইউনূসের বদলে অন্য কাউকে সরকার প্রধান করার জন্য বলেছিলেন। সেনা প্রধানকে উদ্ধৃত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আওয়ামি লীগ একটা লোককে একেবারেই দেখতে পারছে না এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ লোক আওয়ামি লিগকে সমর্থন করে। এই ৩০-৪০ শতাংশের মানুষের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে কি একটা লোককে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত?”
আসিফ মাহমুদের ভিডিয়োটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। এরপরই সেনা প্রধান সম্পর্কে নানা কটূক্তি ধেয়ে আসতে শুরু করেছে রাজনীতির ময়দানে ও সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই মহম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের শ্রম আইন মামলায় দোষী সাব্য়স্ত করা হয়। ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। গ্রামীণ টেলিকম নামক ইউনূসের তৈরি একটি কোম্পানির কর্মীদের জন্য ওয়েলফেয়ার ফান্ড তৈরি করতে না পারা এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ ছিল।





