Bangladesh Vijay Diwas: ঢাকার দড়িতে ইসলামাবাদের টান? আবার স্থগিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ
Vijay Diwas in Bangladesh: চলতি বছরের নভেম্বরে এই কুচকাওয়াজ স্থগিত রাখা নির্দেশিকা জারি করেছিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর। এই বছরের জন্য় কুচকাওয়াজ স্থগিত রাখা হচ্ছে বলেই সেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ ডিসেম্বর এই নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা: পর পর দু’বছর। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। হয়নি গতবছর, হবে না এই বছরও। কিন্তু কেন? ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই একাংশ অভিযোগ তুলেছিলেন ‘ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার’। নানা সরকারি সিদ্ধান্তে সেই নজির ধরাও পড়েছে। কখনও মুছে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কিছু অংশ। কখনও হয়েছে নাম নিয়ে রাজনীতি। আগামিকাল অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর পদ্মা পাড়ে পালিত হয় বিজয় দিবস। এই দিন বাংলাদেশ গঠনের। পাকিস্তান থেকে মুক্তি পাওয়ার। কিন্তু তাতেও হবে না সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ।
চলতি বছরের নভেম্বরে এই কুচকাওয়াজ স্থগিত রাখা নির্দেশিকা জারি করেছিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর। এই বছরের জন্য় কুচকাওয়াজ স্থগিত রাখা হচ্ছে বলেই সেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ ডিসেম্বর এই নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, ‘কুচকাওয়াজ বন্ধ করার কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। প্রস্তুতির সময় না পাওয়ায় কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের পাঁচ অগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ব্যস্ত। ৬০ থেকে ৭০ হাজার সেনা দেশজুড়ে অন-ডিউটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করছেন তাঁরা। সেই কারণে কুচকাওয়াজ করার জন্য যে প্রস্তুতি প্রয়োজন সেটা এই সময় মিলছে না।‘ গত বছরও এই ইস্যুকেই আধার করেছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে একটা সরকার পড়ে গিয়েছে, এত বড় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাই নিরাপত্তার খাতিরেই কুচকাওয়াজ স্থগিত রাখে ইউনূস সরকার। কিন্তু বছর ঘুরলেও কারণ বদলায়নি।
যা ঘিরে তুঙ্গে রাজনীতি। ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কোনও মতে সোজা চোখে দেখছে না আওয়ামী লিগের। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে পাকিস্তানি শক্তির উস্কানি রয়েছে বলেই দাবি তাঁদের। একটি বিবৃতিতে হাসিনার দল জানিয়েছে, ‘এটা আসলেই প্রতীকী আত্মসমর্পণ। যে দেশটিকে ১৯৭১ সালে পরাজিত করা হল। আজ সেই পাকিস্তানের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা শক্তি এখন বাংলাদেশের ক্ষমতায়। তাঁর কীভাবে এই পরাজয়ের দিনটি উদযাপন করতে পারে?’
