Sheikh Hasina: ভারতের আশ্রয়ে হাসিনা, আদালত ফাঁসির সাজা দিলে কী করবে বাংলাদেশ?

Sheikh Hasina: মামলা চলাকালীন একাধিকবার নোটিস জারি করার পরও হাজিরা দেননি শেখ হাসিনা। এবার প্রশ্ন হল, আজ যদি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দেয়, তাহলে কীভাবে সেই শাস্তি দেওয়া হবে তাঁকে?   

Sheikh Hasina: ভারতের আশ্রয়ে হাসিনা, আদালত ফাঁসির সাজা দিলে কী করবে বাংলাদেশ?
ফাইল চিত্র।Image Credit source: PTI

|

Nov 17, 2025 | 11:12 AM

ঢাকা: শেখ হাসিনাকে নিয়ে সরগরম বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-র বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় রায়দান করা হবে। এই মামলায় হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসির সাজাই চেয়েছে। কী রায়দান করা হয়, তা জানা যাবে আর কিছুক্ষণেই। তবে যদি সত্যিই হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়, তাহলে কী করবে বাংলাদেশ সরকার? কারণ শেখ হাসিনা রয়েছেন ভারতে। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়দানকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। দফায় দফায় অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গাড়িতে আগুন ধরানো, ককটেল বোমা ছোড়া হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিপুল পুলিশ বাহিনী, সেনা এমনকী বিজিবি-ও নামানো হয়েছে। আওয়ামী লিগের সমর্থকরা রায়দানের পর বড় রকমের অশান্তি করতে পারে বলেই আশঙ্কা।

মামলা চলাকালীন একাধিকবার নোটিস জারি করার পরও হাজিরা দেননি শেখ হাসিনা। এবার প্রশ্ন হল, আজ যদি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দেয়, তাহলে কীভাবে সেই শাস্তি দেওয়া হবে তাঁকে?

কী করবে বাংলাদেশ?

প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন জানিয়েছেন হাসিনার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হলেই ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিস জারি করার আবেদন জানানো হবে। কনভিকশন ওয়ারেন্টের আবেদন করা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগেই ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসিকিউশন বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিসের আবেদন করেছিল। ইন্টারপোল যদিও তার কোনও জবাব দেয়নি। এবার সাজা ঘোষণা করা হলে, ফের একবার রেড কর্নার নোটিসের আবেদন জানাবে।

কী কী অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে?

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মূলত ৫টি অভিযোগ রয়েছে। এগুলি হল-

  1.  উসকানিমূলক বক্তব্য
  2.  হেলিকপ্টার, ড্রোন, অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলন থামানোর নির্দেশ
  3.  রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সইদকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ
  4. ঢাকার চানখাঁরপুলে ৬ আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ
  5.  আশুলিয়ায় ছয় জনকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলার শুনানি চলাকালীন শেখ হাসিনাকেই জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনকারীদের উপরে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার  প্রধান চক্রী বলে অভিহিত করী হয়েছিল। আদালতে তাঁর অডিয়ো রেকর্ডও পেশ করা হয়েছিল প্রমাণ হিসাবে। যদিও সম্প্রতি একাধিক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন যে তিনি সরাসরি কাউকে হত্যার নির্দেশ দেননি।

অন্য দেশেও কি সাজা পেতে পারেন হাসিনা?

এই বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার জানিয়েছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন হাসিনা ও বাকি দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছিল, সেই একই অভিযোগে যদি অন্য কোনও দেশে মামলা হয়, সেই মামলাগুলি গ্রাহ্য হবে না কারণ সাংবিধানিক অধিকারে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে কোনও ব্যক্তিকে একই অপরাধে দুইবার সাজা দেওয়া যেতে পারে না। দুইবার বিচারও হবে না।