
ঢাকা: দিনে দিনে নৌরাজ্যের অন্ধকারে ডুবছে বাংলাদেশ। নতুন করে ছাত্র আন্দোলনে ফুটছে ঢাকা। গত বছর, জুলাই মাসে এমনই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বছর ঘোরার আগেই এবার দেশ ছেড়ে পালালেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। এতটাই তাড়া ছিল যে বাড়িতে পরিহিত লুঙ্গি পরেই বিমানে উঠে পড়েন তিনি।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদ মঙ্গলবার, রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। রাত ৩টে নাগাদ, যখন গোটা বাংলাদেশ ঘুমিয়ে, সেই সময় তিনি থাই এয়ারওয়েজের বিমানে ঢাকা ছেড়েছেন। পরে সকাল হতেই বিষয়টি জানাজানি হয় এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকার যে পদক্ষেপ করেছিল, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সেই মামলায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদের নামও ছিল। শেখ হাসিনা ও আওয়ামি লীগের বিরুদ্ধে যে খুনের মামলা রয়েছে, তাতেও হামিদের নামের উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির নির্দেশ দিয়েছেন। যে পুলিশ কর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাদেরও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
হামিদের পরিবারের দাবি, চিকিৎসার জন্যই বিদেশে গিয়েছেন বছর একাশির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাই ও শ্যালকও রয়েছেন। বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, হামিদকে হুইলচেয়ারে করে নিয়ে আসা হচ্ছে, তার পরনে লুঙ্গি।
অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, হামিদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ছাত্র সংগঠন “স্টুডেন্ট এগেনস্ট ডিসক্রিমিনেশন” দাবি করেছে, যারা হামিদকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। হান্নান মাসুদের দাবি, ক্ষমতায় যারা রয়েছে, বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মদতেই হামিদ পালিয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই সময় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।