Bangladesh: আর কোনও রাখঢাক নয়, সরাসরি বলেই দিল বাংলাদেশ, ‘ফাঁকা হুঙ্কারের’ জবাব ভারতেরও
Bangladesh: বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বক্তব্য, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো লাইন থেকে দেড়শ গজের মধ্যে ভারতকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। এর মধ্যে তিনটি জেলার পাঁচটি সীমান্তে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কলকাতা: এতদিন পর্যন্ত চলছিল ‘পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া’। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (BGB) সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি করছিল বিএসএফ-এর সঙ্গে। মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের একাধিক সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের খবর সম্প্রতি সামনে এসেছে। আর এবার একদম সরাসরি হুমকি এসেই গেল বাংলাদেশ থেকে। তাদের সাফ দাবি, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, “নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।”
রবিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বৈঠক ডাকেন। বিকেলে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীমউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনার পর প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, “দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (ভারতের বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি) সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে কাজ করবে।” তিনি বলেন, আমি পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতের ব্যাপারে ভারত কী চাইছে তা নিয়ে কথা বলেছি। চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল, কীভাবে দমন করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি।”
এ দিকে, এ দিন বৈঠকের আগে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীর বক্তব্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইন থেকে দেড়শ গজের মধ্যে ভারতকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। এর মধ্যে তিনটি জেলার পাঁচটি সীমান্তে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি এও বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থার সম্পর্কে অবহিত করবে।”
আর এই ঘটনার পরই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রশ্ন উঠছে যেখানে বারবার ভারত সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে, সেখানে তারা কীভাবে এই হুমকি দিচ্ছে? আন্তর্জাতিক সম্পর্ত বিশেষজ্ঞ রাজগোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশ উস্কানি দিচ্ছে। ওরা বারাবার আমাদের রাষ্ট্রদূতকে ডাকছে। আমরা সেটা করতে চাইছি না। আমরা আমাদের মতো কাজ করতে চাইছি। আর ডেকেই বা কী বলবে? কোনটা অন্যায় করেছে ভারত? কিছু বলতে পারবে? না পারবে না। ওইখানকার সাধারণ মানুষকে দেখানোর জন্য এই সব করছে।”