ঢাকা: আরও বড় ধাক্কা হাসিনার। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল তাঁর দল আওয়ামি লীগের শাখা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লীগকে। বুধবার রাতে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিকদের দাবি মেনেই ছাত্র লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনূস সরকার।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, বিশেষ করে গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী শাসনকালে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, হস্টেলে সিট নিয়ে ব্যবসা, টেন্ডার দুর্নীতি, ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো নানা ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। একাধিক মামলায় ছাত্র লীগের সঙ্গে যুক্তরা অভিযুক্ত হিসাবেও প্রমাণিত হয়েছে।
সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের উপরে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং শতাধিক নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামি লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসমূূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার তথ্য-প্রমাণ সরকারের কাছে রয়েছে। ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর অধীনে সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ছাত্র লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে পথে নেমেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ইস্তফা চেয়ে তারা বঙ্গভবনের বাইরে অবস্থানে বসে। পরে রাতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে।