
ঢাকা: সৌদি-পাকিস্তান যেরকম প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে, তেমনই চুক্তি করবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ (Pakistan-Bangladesh)। সূত্রের খবর, এই চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে বিরোধ বেঁধেছে অন্য জায়গায়। চুক্তি কবে হবে, তা নিয়ে বিরোধ বেধেছে দুই শীর্ষ নেতার।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তিনটি বিষয় থাকতে পারে। প্রথম, একে অন্য দেশে ঘাঁটি তৈরি করবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। অর্থাৎ বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরি করবে পাকিস্তান আর পাকিস্তানে ঘাঁটি তৈরি করবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়, একে অন্যের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। বাংলাদেশ যুদ্ধ করলে, পাকিস্তান তাদের যুদ্ধবিমান ভাড়ায় দিতে পারবে। এবং তৃতীয়, এক দেশ আক্রান্ত হলে, অন্য দেশ পাশে দাঁড়াবে, যুদ্ধে সাহায্য করবে।
শোনা যাচ্ছে, এই চুক্তি কবে হবে, তা নিয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস ও বিএনপির নেতা তারেক রহমান। ইউনূস চান, বাংলাদেশের নির্বাচনের আগেই, জানুয়ারিতে প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়ে যাক। অন্যদিকে, তারেক রহমান চান বাংলাদেশের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসে বিএনপি এই চুক্তি করুক। সহজ কথায় বলতে গেলে, চুক্তির কৃতিত্ব কে নেবে, তা নিয়েই ঝামেলা বেঁধেছে। শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি হয় কি না, তাই দেখার।
তবে এই চুক্তি আলোচনার সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেখানে বাংলাদেশ ভারতের সেভেন সিস্টার্স দখলের হুমকি দিচ্ছে, সেখানেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের যুব শাখা কামরান সইদ উসমানি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছে। উসমানি বলেছেন, “যদি ভারত বাংলাদেশে আক্রমণ করে, কেউ বাংলাদেশের দিকে কুনজর দেয়, তাহলে মনে রাখবেন, পাকিস্তানের মানুষ, পাকিস্তানি সেনা বাহিনী ও আমাদের মিসাইল বেশি দূরে নেই।“
২০২৪ সালের অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারে পতনের পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে বাংলাদেশের। যে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা পেতেই যুদ্ধ করেছিল, ভারতের সাহায্য না পেলে স্বাধীনতার স্বাদ পেত না, তারাই ইউনূস জমানায় এসে পাকিস্তানের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করছে।