Bangladesh: প্রতি পদে অপমান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদ ছাড়তে চাইছেন! নেপথ্যে সেই ইউনূস…

Bangladesh President Mohammed Shahabuddin: সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, "আমি সরে যেতে চাই। আমি চলে যেতে আগ্রহী।"

Bangladesh: প্রতি পদে অপমান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদ ছাড়তে চাইছেন! নেপথ্যে সেই ইউনূস...
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন।Image Credit source: X

|

Dec 12, 2025 | 10:59 AM

ঢাকা: চূড়ান্ত অপমানিত খোদ রাষ্ট্রপতি। পদ ছাড়তে চাইছেন তিনি। এমনও হল বাংলাদেশে। সামনেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। তারপরই ইস্তফা দিতে চান সে দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনি অপমানিত। সেই কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মাঝ পথে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে চাইছেন।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমি সরে যেতে চাই। আমি চলে যেতে আগ্রহী। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন করে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদে থাকায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।”

হঠাৎ কী হল যে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে চাইছেন তিনি? রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন যে প্রায় সাত মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁর জনসংযোগ বিভাগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকী, গত সেপ্টেম্বরেই বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তাঁর (রাষ্ট্রপতি) ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল। হঠাৎ এক রাতেই সেগুলি উধাও করে দেওয়া হয়েছে। এতে মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা গিয়েছে যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছিলাম।”

এই বিষয় নিয়ে মহম্মদ ইউনূসকে লিখিতভাবে জানালেও, তিনি কোনও ব্যবস্থা করেননি বলেই অভিযোগ করেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, “আমার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক তিনি। তবে এই পদ অনেকটাই আলঙ্কারিক, কারণ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভাই দেশ চালায়।  তবে গত বছর থেকে বাংলাদেশের চিত্রটা বদলে গিয়েছে। ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়েন, সরকার ভেঙে যায়, তখন রাষ্ট্রপতিই  একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসাবে বহাল ছিলেন। ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাষ্ট্রপতিকে কোণঠাসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ইউনূস যোগাযোগ না করলেও, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, ” সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। সেনাপ্রধান স্পষ্ট জানিয়েছেন যে দেশের ক্ষমতা নেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই”। বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ইতিহাস থাকলেও, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান চান, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক।