Bangladesh Violence: ককটেল ফাটানো নিয়ে বচসা, ইদের বিকালে ঘরে ঢুকে গুলি ৫০ দুষ্কৃতীর
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জালাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি ককটেলের মতো নানা ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির সঙ্গে জড়িত। তিনি প্রায়ই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেন। ইদের দিন বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন এলাকায় ককটেল ফাটাচ্ছিলেন।
ঢাকা: সামান্য বচসা ঘিরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। ইদের দিন এই হিংসাত্মক ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। চার জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মৃত যুবক একটি পোলট্রি ফার্মের মালিক। ঘটনার জেরে মৃত ও আহতেরা একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। শনিবার বাংলাদেশের নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বীরগাঁও পূর্ব পাড়া গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। মৃত পোলট্রি ব্যবসায়ীর নাম জুলহাস মিয়া (২৮)। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন সাদ্দাম মিয়া (৩২), ইয়ামিন মিয়া (১৮), হাবিব মিয়া (১৬) ও রাইজুদ্দীন মিয়া (২৬)। তাঁরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জালাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি ককটেলের মতো নানা ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির সঙ্গে জড়িত। তিনি প্রায়ই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেন। ইদের দিন বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন এলাকায় ককটেল ফাটাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলের পাশেই জুলহাসের পোলট্রি ফার্ম। সেখানেও ককটেল ফাটাচ্ছিলেন জালাল ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। সে সময় জুলহাস এসে তাঁদের, ককটেল না ফাটাতে অনুরোধ করেন। ফার্মের মুরগিরা বিস্ফোরণের শব্দে ভয় পায় বলে জানান তিনি। এ নিয়ে জালালের সঙ্গে জুলহাসের কথা কাটাকাটি হয়। তখন সেখান থেকে জালাল চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আধ ঘণ্টা পরই জালালের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন জুলহাসদের বাড়িতে ঢোকে এবং হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের হাতে পাইপগান, শটগান, তরোয়ালের মতো অস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ। জালাল বাহিনীর ছোড়া গুলিতে পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে জুলহাসের মৃত্যু হয়েছে।
গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। নিহত জুলহাসের মামা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এমন তুচ্ছ বিষয়ে টেঁটা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালাবে, বাড়িতে ঢুকে গুলি করে দেবে, ভাবতেই পারছি না। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই জুলহাসের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার পথে থাকা দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।