AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhaka Blast Update: হাসপাতাল চত্বরে শুধুই বুক ফাটা কান্নার রব, সেনাবাহিনীর অপেক্ষায় থমকে উদ্ধারকাজ

Bangladesh: দমকল বাহিনীর কর্মীরাও জানান, সিদ্দিকিবাজারের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংটির ভিত অত্যন্ত নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।  বেশকিছু পিলার ভেঙে পড়ায় নীচে বেসমেন্টে ঢোকার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদি এই পিলারগুলি সরানো হয়, তবে বিল্ডিংয়ের বাকি অংশটিও ভেঙে পড়তে পারে।

Dhaka Blast Update: হাসপাতাল চত্বরে শুধুই বুক ফাটা কান্নার রব, সেনাবাহিনীর অপেক্ষায় থমকে উদ্ধারকাজ
ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংটি।
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2023 | 9:36 AM
Share

ঢাকা: যেকোনও মুহূর্তেই ভেঙে পড়তে পারে ঢাকার ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিং। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকাজ চালালেও, ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টে এখনও ঢুকতে পারল না দমকলবাহিনী।  অপেক্ষা এখন সেনা বাহিনীর। তারা এলেই আজ, বুধবার থেকে ফের উদ্ধারকাজ (Rescue Work) শুরু করা হবে ঢাকার সিদ্দিকিবাজারের বিস্ফোরণস্থলে (Dhaka Blast)। মঙ্গলবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সিদ্দিকিবাজারের একটি বিল্ডিং। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশেপাশের দুটি বহুতলও। বিস্ফোরণে এখনও অবধি ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন। মঙ্গলবার রাতে উদ্ধারকাজ স্থগিত করে দেওয়া হলেও, এ দিন সকাল থেকে ফের উদ্ধারকাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংগুলির ভিতরে আরও কিছু মানুষ আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দিনমণি শর্মা উদ্ধারকাজ স্থগিত করে দেওয়ার কথা জানান। সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিস্ফোরণের পর বিল্ডিংটির অবস্থা অত্য়ন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় বিল্ডিংয়ের বেসমেন্ট  বা ভূগর্ভস্থ তলে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। সেই কারণে সাময়িকভাবে উদ্ধারকাজ স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। পরে এদিন সকালে জানা যায়, উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সকালে সেনাবাহিনী এলে, তারপর উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে।

দমকল বাহিনীর কর্মীরাও জানান, সিদ্দিকিবাজারের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংটির ভিত অত্যন্ত নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।  বেশকিছু পিলার ভেঙে পড়ায় নীচে বেসমেন্টে ঢোকার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদি এই পিলারগুলি সরানো হয়, তবে বিল্ডিংয়ের বাকি অংশটিও ভেঙে পড়তে পারে। সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়েই ধ্বংসস্তূপের ভিতরে প্রবেশ করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে যারা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন, তাদের দাবি, ভিতরে এখনও কমপক্ষে ২ থেকে ৩ জন আটকে রয়েছেন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করার জন্য় দাবি জানান তাঁরা। অন্যদিকে, বিস্ফোরণের পর আহত ও নিহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া অবধি ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে ১২০ জন আহত হয়েছেন।  হাসপাতালগুলির বাইরে এখন শুধুই হাহাকার শোনা যাচ্ছে।