ঢাকা : কুমিল্লার ঘটনায় নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, দোষীরা যে ধর্মেরই হোক, কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সংখ্য়ালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু হয় না। প্রত্যেকে বাংলাদেশেরই নাগরিক। বলেছিলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে যাঁদের জন্ম, তাঁরা প্রত্যেকে এই মাটিরই সন্তান। আপনারা সবাই নিজের অধিকারে বসবাস করেন।”
আর এবার প্রধানমন্ত্রীর সেই কথাই আরও একবার শোনা গেল বাংলাদেশের শাসক দলের গলায়। আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলাদেশের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের অভয়বাণী দিয়েছেন। বলেছেন, “আপনাদের কারও কোনও ভয় নেই। আপনাদের সঙ্গে শেখ হাসিনা আছেন। আওয়ামী লিগ আছে।”
আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক আরও জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত না এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষ দাঁত ভাঙা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আওয়ামী লিগ রাজপথে থাকবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে আওয়ামী লিগ। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে গোটা বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের নেতা ও কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের কুমিল্লায় যে তাণ্ডবের সূত্রপাত হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক ইন্ধনের গন্ধও পাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি আজ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উস্কানি দিচ্ছে। বলেন, “আমরা জানি কারা এদের ফান্ডিং করছে। কাদের উস্কানিতে আজ সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।”
কুমিল্লার এই তাণ্ডবের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না শেখ হাসিনাও। ঘটনার পর নাম না করে বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপিকে নিশানা করতেও ছাড়েননি তিনি। তাঁর মতে, বাংলাদেশ যখন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এই যাত্রাকে ব্যাহত করার এবং একইসঙ্গে দেশের ভিতরে একটি সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। যারা মানুষের বিশ্বাস, আস্থা অর্জন করতে পারে না, রাজনীতি নেই, কোনও আদর্শ নেই, আসলে তারাই এই ধরনের কাজ করে।
শেখ হাসিনার সেই কথাই আজ আরও একবার শোনা গেল তাঁর দলের নেতার গলায়। বাংলাদেশের কুমিল্লায় যে ঘটনার শুরু হয়েছে, তা আজ সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লিগ রাজধানী ঢাকায় ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ আয়োজন করেছিল। সেই কর্মসূচি থেকেই আজ আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দেন। দলের প্রত্যেক কর্মীকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা প্রতিরোধ করার নির্দেশ দেন তিনি। একসঙ্গে দলের সব স্তরের নেতা ও কর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন : Bangladesh: কুমিল্লায় তাণ্ডবের সূত্রপাত কারা করেছে, খুঁজে বের করতে মন্ত্রীকে নির্দেশ শেখ হাসিনার