ঢাকা : কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় এবার মোলনুপিরাভির ক্যাপসুল ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে দেশের সব হাসপাতালে চিঠি দিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতর। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড পজিটিভ রোগীদের যদি মৃদু ও মাঝারি উপসর্গ থাকে, তাহলে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। তবে রোগীর বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা অন্যান্য কোমর্বিডিটি থাকলে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জটিল উপসর্গ থাকলে এবং কোভিডের লক্ষণ সামনে আসার পাঁচ দিন পার হয়ে গেলে এই ওষুধ আর কার্যকর হয় না। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ড. মোহম্মদ ফরিদ হোসেন মিঞা রবিবার দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তা, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের এই চিঠি পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশের বাজারে মোলনুপিরাভির সুলভ হওয়ার পরই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হল। আমেরিকার দুই সংস্থা মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে মোলনুপিরাভির নামে কোভিডের এই ওষুধ।
ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে অনুমোদন পেয়েছে সেই ওষুধ। এবার সেই ওষুধই তৈরি হবে বাংলাদেশে। উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দিচ্ছে বাংলাদেশের সরকার। দেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই অনুমোদন পাবে বলে জানা গিয়েছে। জানা দিয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সব ওষুধ কোম্পানিই এই ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদন চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সংস্থাগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হবে। এসকেএফ, স্কয়ার, বেক্সিমকো, রেনেটা, ইনসেপ্টা, বিকনসহ মোট ৮ থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় আছে।