ঢাকা: সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) আমাদের রোজকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। নিজের মনের ভাব ভাগ করে নেওয়াই হোক বা নিত্যনতুন ছবি আপলোড, রোজ কয়েকবার সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ না রাখলে দিন যেন অসম্পূর্ণ মনে হয়। সেই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলির মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় ফেসবুক। বেশ কিছুদিন ধরে ফেসবুকে লাইভ (Facebook Live) করা যায়। কিন্তু পরীক্ষার হলে যেখানে মোবাইল নিষিদ্ধ, সেখান থেকে মোবাইল ব্যবহার করে ফেসবুক লাইভ করা কী আদৌ সম্ভব? শুনে অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন বাংলাদেশের (Bangladesh) এক ছাত্র নেতা। পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুক লাইভ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। সেই ফেসবুক লাইভে নিজেকে শাসকদলের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের অনুগামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ওই তরুণ। ওই ফেসবুক লাইভে নিজের সংগঠন ছাত্রলীগ নিয়ে গর্ব করে তিনি বলেন, “আমরা ছাত্রলীগ, যেখানে যাব সেখানেই বুলেট। রোজা থেকে পরীক্ষা দিচ্ছি, পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাব। পরীক্ষার খাতায় সাংসদের নাম লিখে দিয়েছি।”
জানা গিয়েছে মনির হোসেন ওরফে সুমন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একটি কেন্দ্র থেকে কম্পিউটার অ্যাপলিকেশ কোর্স করছেন। ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সেই কোর্সের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন ওই তরুণ, সেখানেই পরীক্ষার হলে বসে এই আজব কাণ্ড ঘটান তিনি। সুমনের সঙ্গে আরও ৫০ জন পরীক্ষার্থীও পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। দুপুর ১২ নাগাদ ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে সুমন বলেন, “পরীক্ষা চলছে, কিন্তু আমি বসে আছি। বাকি সবাই লিখছে। আমি বাংলায় লিখতে পারি না, ইংরেজিতে লিখি। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল পরীক্ষার হল থেকে ফেসবুক লাইভ করব, এতদিনে সেই ইচ্ছে পূরণ হল। পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করব।”
পরীক্ষার হল থেকে ছাত্র নেতার এই কাজে বাংলাদেশে নিন্দার ঝড় বইছে। অনেকে ওই ফেসবুক লাইভের নীচে কমেন্ট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন। চাপের মুখে শেষমেশ ফেসবুক থেকে ভিডিয়ো ডিলিট করে দেন ওই ছাত্র নেতা। কিন্তু ততক্ষণে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র শিক্ষক শিক্ষিকার উপস্থিত থাকলেও তারা কিছু বলেননি। ওই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে ঘটনাটির তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন Sri Lankan Economic Crisis: শ্রীলঙ্কাতে ভেঙেছে অর্থনীতির কোমর, ভারত কি এর থেকে শিক্ষা নেবে?