গাজিপুর: সামাজিক অবক্ষয় এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে জঘন্য কাজস করার আগে মানুষ দ্বিতীয়বার ভাবে না। নিজের স্বার্থ এবং চাহিদা পূরণ করার জন্য যে কোনও পর্যায়ে চলে যেতে পারে। বাংলাদেশেও (Bangladesh) ঘটেছে এমন এক লজ্জাজনক ঘটনা। দেড় বছর ধরে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাজিপুরের আসাদুজ্জামান সাদ ওরফে আসাদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সমাজের যাবতীয় অপরাধ ও খারাপ কাজগুলি তুলে ধরা যাদের দায়িত্ব, সেই সাংবাদিকই এই লজ্জাজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেই জানা গিয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার স্বামীকে একাধিক মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ওই দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। বুধবার দুপুরের নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে গাজিপুরের জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা। প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, আসাদ তাঁর স্বামীর বন্ধু ছিল। মোবাইলে তাঁকে অশ্লীল ছবি পাঠাত এমনকী তাঁকে একাধিকবার কু-প্রস্তাবও দিয়েছে। ২০২০ সালের ৬ জুন প্রথমবার ‘তোমাকে না পেলে আমি আত্মহত্যা করব’ এই ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে আসাদ করে। এরপর একাধিকবার ওই বাড়িতেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেই মহিলার অভিযোগ।
মঙ্গলবার দুপুরেই গাজিপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধর্ষণের বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলেন ওই মহিলা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক এবং ৯ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসাদের সঙ্গে নির্যাতিতা ওই মহিলার একটি কল রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। ওই অডিয়ো রেকর্ডিয়ে দেড় বছর ধরে ধর্ষণের করা বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ওই অডিয়ো প্রকাশের পর অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর মানুষ সরব হয়েছেন। সাংবাদিকরাও সমপেশার ওই অভিযুক্তের পাশে দাঁড়াননি। জানা গিয়েছে আসাদ দৈনিক ইত্তেফাকের পত্রিকার সাংবাদিক। সিআইডি তদন্তে নেমে কী পদক্ষেপ করে সেটাই এখন দেখার।