ঢাকা: ডাব পারতে গাছে উঠেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বরগুনার বাসিন্দা ইউনুস মিঞা (৫৫)। পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করতে না পেরে দমকলে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে এসেও পড়ে দমকলকর্মীরা। কিন্তু দড়ি বেঁধে নামানোর সময়ই ঘটল বিপত্তি। আচমকাই দড়ি ছিঁড়ে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। মারধর করা হয় দমকলকর্মীদের।
বরগুনা জেলার গিলাতলী গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস মিঞা বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ নারকেল গাছে ওঠেন ডাব পারতে। কিন্তু গাছে উঠেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, পড়ে যাওয়ার ভয়ে অসুস্থ শরীরে একা নামতেও পারছিলেন না। পরে বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করেন এবং তারা দমকলে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলকর্মীরা। তাঁরা গাছে উঠে ওই ব্যক্তিকে দড়িতে বেঁধে নামাচ্ছিলেন, এমন সময়ই আচমকা দড়ি ছিঁড়ে যায়। সজোরে মাটিতে আছড়ে পড়েন ওই ব্যক্তি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনার পরই মৃতের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা দমকলকর্মীদেরই দোষারোপ করতে শুরু করেন। ব্যাপক মারধর করা হয় সাতজন দমকলকর্মীকে। এদের মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকলকর্মীরা বিনা প্রস্তুতিতেই এসেছিলেন। তাঁদের কাছে কেবল গামছা ও দড়ি ছিল। এক থেকে দেড় ফুট নামানোর পরই আচমকা গামছা ও দড়ি ছিঁড়ে যায়। মাটিতে আছড়ে পড়ে ইউনুসের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, দমকলকর্মীদের অভিযোগ, তারা সঠিক পদ্ধতিতেই নামাচ্ছিলেন। দড়ির একটি অংশ নীচে রাখা ছিল, যা ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ধরে রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ নীচ থেকে দড়িতে হ্য়াঁচকা টান মারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দমকলকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। আরও পড়ুন: ‘ঘরে’ ফিরছে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার নির্দশন, ১৮ বছর পর লুঠ হওয়া প্রত্ন সামগ্রী ফেরাচ্ছে আমেরিকা