Bangladesh News:’দাবি না মানলে জরুরি পরিষেবা বন্ধ,’ উপাচর্যের পদত্যাগের দাবিতে আরও কঠোর আন্দোলনকারীরা
Bangladesh News : সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা হুমকি দিয়েছেন, এইবার উপাচার্য পদত্যাগ না করলে জরুরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান তাঁরা।
সিলেট : সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। আজ বিকেলে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা হুমকি দিয়েছেন, এইবার উপাচার্য পদত্যাগ না করলে জরুরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান তাঁরা।
প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমরা পাঁচ দিন ধরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন করছি। এ সময়ের মধ্যে যে কেউ উপাচার্যের বাসভবনে ঢুকছে আবার বেরও হচ্ছে। বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছি না। রবিবার বিকেলের পর থেকে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা তা নিশ্চিত করবে।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা অনশন করে যাব। তিনি ভেতরে বসে থেকে সব সুযোগ–সুবিধা ভোগ পাবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের আন্দোলন অহিংস, কিন্তু আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে নাফিসা আনজুম বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে সমাধান পেতে গতকাল শনিবার রাত ১টায় ভিডিও কলে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়েছে। সেখানে উপাচার্যের পদত্যাগ সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট কোনো কথা দেওয়া হয়নি। যেহেতু আমাদের অনশনকারী শিক্ষার্থীদের রেখে ঢাকা যেতে আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত নই। তাই আমরা ভার্চ্যুয়ালি যেকোনো মাধ্যমে সব আলোচনার জন্য সব সময় রাজি আছি।’
বুধবার থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন ২৪ জন পড়ুয়া। শুক্রবার সকাল অবধি অনশনরত পড়ুয়াদের ১১ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এক একটি অনোন্য উপায় বেছে নিয়েছেন। কিছুদিন আগে অভিনব এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে। লাল রংয়ের কালিতে সেখানে লেখা ছিল “নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ভিসি পদ ফাঁকা আছে।” এরপর কাফনের সাদা কাপড় পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করতেও দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের। মিছিলের সামনে ছিল একটি প্রতকী মৃতদেহও।
কী নিয়ে এই আন্দোলন?
জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক জাফরি আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ার। রবিবার বিকেলে পড়ুয়ারা যখন আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে ঘেরাও করেছিলেন তখন পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। সেদিনই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নিজেদের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ এর প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন : USA : আকুন্ঠ আবেগ নিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়লেন মিলিটারি ডিরেক্টর পদে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত