Awami League: নির্বাচনী ইস্তেহারে কোন কোন বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন শেখ হাসিনার দল
বুধবার ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দলীয় ইস্তেহার ঘোষণা করেন আওয়ামি লিগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ইস্তেহার ঘোষনাকালে শেখ হাসিনা বিগত বিএনপি জামায়াত ও নিজের সরকারের নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে বিষেশ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে।
ঢাকা: আসন্ন নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগ। সেই ইস্তেহারে ১১ দফা প্রতিশ্রুতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দলীয় ইস্তেহার ঘোষণা করেন আওয়ামি লিগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ইস্তেহার ঘোষনাকালে শেখ হাসিনা বিগত বিএনপি জামায়াত ও নিজের সরকারের নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে বিষেশ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। এর পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং পেনসন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে শেখ হাসিনার দল।
ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার একটানা ১৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। পাঁচ বছর মেয়াদি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকায় আমরা বাংলাদেশের অভূপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পেরেছি। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তাঁর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা।” এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে দেশের নিরাপত্তার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন হাসিনা। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুর প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন তিনি।
তাঁর আমলে বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে হাসিনা বলেছেন, “গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ। ছোটখাট অভিঘাত আজ আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। করোনা মহামারিসহ নানা অভিঘাত মোকাবিলা করে সেই প্রমাণ আমরা রেখেছি।”
পররাষ্ট্রনীতি ঘোষনা করতে যেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “যুদ্ধ না, শান্তিতে আমরা বিশ্বাসী। জাতির পিতার নির্দেশিত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতিকে ধারণ করে আওয়ামি লিগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক শক্তিশালী ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত হলে সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা চলমান থাকবে। আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ, ট্রানজিট, জ্বালানি অংশীদারত্ব এবং ন্যায়সঙ্গত পানিবণ্টনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”