ঢাকা: পেটের টানে ফিরতেই হবে বিদেশের কাজে। তবে করোনাকালে আরও কঠিন হয়েছে বিদেশযাত্রা, বিদেশ যেতে গেলেই লাগছে টিকা শংসাপত্র। এদিকে, দেশে টিকার ঘাটতি রয়েছে এখনও, কীভাবে টিকা পাবেন, সেই চিন্তায় যখন হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন, সেই সময়ই কয়েকজন ফোনেই মেসেজ পাচ্ছেন যে অতিরিক্ত কিছু টাকা খরচ করলেই বিনা ঝুটঝামেলাতেই টিকা পেয়ে যাবেন। এই ফাঁদে পা দিয়েই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
বুধবার রাতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান বা র্যাব। ধৃতদের নাম নুরুল হক, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও দুলাল মি়ঞা। তাদের কাছ থেকে একাধিক ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
জেরায় জানা গিয়েছে, বিদেশে যেতে চান, এমন ব্যক্তিদেরই নিশানা বানানো হত। বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরে প্রতারক দলের সদস্যরা অপেক্ষা করে থাকত। হাসপাতালে যখনই কেউ এসে জানাতেন যে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই কাজে ফিরতে হবে, তাই দ্রুত টিকা চাই, তাদের নম্বর জোগাড় করতেন তারা। পরে ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে বলতেন যে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিলেই এক-দু’দিনের মধ্যেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কোথাও গিয়ে লাইনও দিতে হবে না।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, বিদেশযাত্রীদের দ্রুত টিকাকরণের জন্য মোট সাতটি সরকারি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করলে কোনও সমস্যা না পড়লেও যারা এসএমএসের মাধ্যমে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রার করেছিলেন, তারাই মূলত প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছিলেন। হাসপাতালের নাম করে টিকা নিতে আগ্রহীদের ফোন করা হত, তারপর নুরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হত। সেখানেই দর কষাকষি করে টাকার অঙ্ক ঠিক করা হত। টাকা নেওয়ার পর তাদের নম্বর ব্লক করে দেওয়া হত বা নম্বর বদলে ফেলা হত।