BAPS Mandir: জোহানেসবার্গে BAPS মন্দিরের উদ্বোধন, মেতে উঠলেন প্রবাসীরা
BAPS: দক্ষিণ আফ্রিকায় বিএপিএস-র যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালের ২০ মার্চ। বিএপিএস স্বামীনারায়ণের চতুর্থ আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী যোগীজি মহারাজ লিমপোপো নদীর ধারে প্রথম মন্দির গড়েন।

জোহানেসবার্গ: দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও একটি বিএপিএস মন্দিরের উদ্বোধন হল। জোহানেসবার্গে ওই মন্দির দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী হিন্দুদের কাছে ঐতিহাসিক মাইলফলক। মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে দুইদিন ধরে নানা অনুষ্ঠান হয়। আনন্দে মেতে ওঠেন প্রবাসী ভারতীয়রা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে নগর পরিক্রমা হয় স্যান্ডটনে। পবিত্র মূর্তিকে এলাকায় ঘোরানো হয়। সন্ন্যাসীরা উপস্থিত ছিলেন সেই নগর পরিক্রমায়। বহু মানুষ এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন।
পরদিন অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি মন্দিরে মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হয়। সেখানেও বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিএপিএস-র যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালের ২০ মার্চ। বিএপিএস স্বামীনারায়ণের চতুর্থ আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী যোগীজি মহারাজ লিম্পোপো নদীর ধারে প্রথম মন্দির গড়েন।
তাঁর উত্তরাধিকারী প্রমুখ স্বামী মহারাজ ১৯৭৪ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে সাতবার দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। তাঁর উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় বিএপিএস-র মন্দির নির্মাণ হয়।
আর এখন বিএপিএস-র বর্তমান আধ্যাত্মিক গুরু মহন্ত স্বামী মহারাজ জোহানেসবার্গে BAPS মন্দির ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের সূচনা করলেন।
আফ্রিকাতে ৩৫টি বিএপিএস মন্দির রয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে সাতটি মন্দির। এবার আরও একটি মন্দির যুক্ত হল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১৩০০ বিএপিএস মন্দির রয়েছে। আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতির চর্চা হয় এখানে।
জোহানেসবার্গে বিএপিএস মন্দিরের উদ্বোধনের সময় বিএপিএসের তরফে বলা হয়, জোহানেসবার্গের এই মন্দির শুধু পূজার্চনার জায়গা হবে না। এই মন্দির বিশ্বাস, আত্মত্যাগ ও একতার প্রতীক।





