British Parliament : পার্লামেন্টে চলছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, সাংসদ মজে পর্নে! এ কি আজব কাণ্ড
British Parliament : ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বসে পর্ন দেখার অভিযোগ উঠল এক সাংসদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সত্যি হলে পদত্যাগের দাবি তুলেছেন পার্লামেন্টের বাকি সদস্যরা।
লন্ডন : ব্রিটিশ সংসদে বসে পর্ন ছবি দেখার অভিযোগ উঠল এক সাংসদের বিরুদ্ধে। একটি বৈঠকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মহিলা সদস্যরা দেশে মহিলাদের হেনস্থার ঘটনা তুলে ধরেন। সেই বৈঠকে সংসদের এক সাংসদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে আসে। তবে প্রকাশ্যে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এক মহিলা মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, তিনি উক্ত সাংসদকে পর্নগ্রাফিক বিষয়বস্তু দেখতে দেখেছেন। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সিলেক্ট কমিটির মিটিং চলছিল। সেইসময় সেই সাংসদের পিছনে বসেছিলেন ওই মহিলা মন্ত্রী। তিনি পিছন দেখতে পান যে, ওই সাংসদ বৈঠক চলাকালীন পর্নগ্রাফিক বিষয়বস্তু দেখছেন।
অন্য এক মহিলা সদস্য়ও একই অভিযোগ করেছেন। তিনিও ওই সাংসদকে পর্ন দেখতে দেখেছেন। তবে তা অন্য় সময়ে। তিনি সেই সময় ছবিও তুলে রাখার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই মুহূর্তের ছবি তুলে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। পার্লামেন্টের কনসারভেটিভ সদস্য় এক সংবাদ মাধ্য়মকে জানিয়েছেন যে, সংসদে উপস্থিত বাকি সাংসদরা বিশ্বাস করতে পারেননি যে এরকম কিছু ঘটতে পারে। সংসদের মতো একটি পেশাদারি জায়গায় এরকম কাজ কোনও সংসদ করতে পারেন তা ভেবেই হতবাক বাকি সাংসদরা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে এই ব্যক্তির সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি কনসারভেটিভ পার্টি থেকেও ইস্তফা দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি লিঙ্গবাদ ও নারী বৈষম্য নিয়ে বিতর্কের শীর্ষে ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। এর মধ্যে ব্রিটিশের এক সংবাদ মাধ্যম একটি প্রতিবেদনে অভিযোগ করেছিলেন লেবার পার্টি নেতা অ্যাঞ্জেলা রেইনার তাঁর পা দেখিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা হয়। বরিস নিজে এই ঘটনাকে নারী বিদ্বেষজনক বলে আখ্যা দেন।