Durga Puja in Bangladesh: ‘এমন সমাজ চাই না যেখানে…’, দুর্গা মণ্ডপ পরিদর্শন করে বললেন ইউনুস
Durga Puja in Bangladesh: দুর্গাপুজো আয়োজনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। এ বছর বাংলাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির বা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকমাসে উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর একাধিক জায়গায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে কড়া নিরাপত্তায় বাংলাদেশে উদযাপন করা হচ্ছে দুর্গাপুজো। কিন্তু, তা কখনও কাম্য নয় বলে মন্তব্য করলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
শনিবার পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে এসে মহম্মদ ইউনুস বলেন, “সব সম্প্রদায়-নাগরিকের সমান অধিকারের মাধ্যমে দেশ গঠন করতে হবে। এমন সমাজ চাই না যেখানে সেনাবাহিনী-পুলিশ দিয়ে উৎসব উদযাপন করতে হবে।” এদিন রাজধানী ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসেন মহম্মদ ইউনুস। সেখানে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সমাজ ব্যবস্থায় যেকোনও উৎসব সবাই মিলে এবং সবার অংশগ্রহণে যেন নির্বিঘ্নে, আনন্দ সহকারে পালিত হয়, সেই চেষ্টাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার।’ বর্তমানে সেই অবস্থা তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতাও স্বীকার করেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান তিনি। মহম্মদ ইউনুস বলেন, “আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই, যে বাংলাদেশে সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে।”
এবছর দুর্গাপুজো আয়োজনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। এ বছর বাংলাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির বা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পুলিশি নিরাপত্তায় উৎসব উদযাপন যে সমাজের ক্ষেত্রে ভাল নয়, সেটাই এদিন স্পষ্ট করে দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা।