বেজিং: দূর থেকে নাকে ভেসে আসছে পচা গন্ধ। পাহাড়ের এদিক-ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বিমানের ভাঙা টুকরো। চিনের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার চারদিন পর ধীরে ধীরে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। চলতি সপ্তাহের সোমবারই ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে চিন(China)-র ইস্টার্ন এয়ারলাইনের বোয়িং ৭৩৭ বিমান (Boeing 737)। এরপরই প্রশাসনের তরফে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বুধবার পাহাড়ের জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বিমানের ব্ল্যাকবক্স। এখনও বিমানের যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী দল বেশ কয়েকটি দেহ উদ্ধার করেছে। এখনও কয়েকশো ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না। দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ চিনের কুনমিং শহর থেকে গুয়াংজুর যাওয়ার পথে পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭ বিমান। ৩২ হাজার ফুট থেকে সোজা মাটির দিকে মুখ করেই বিমানটি আছড়ে পড়ে। বিমানে মোট ১৩২ জন যাত্রী ছিলেন। সম্প্রতিই চিনের অসামরিক উড়ান পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ২৩ মিনিট নাগাদ ব়্যাডার থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় ৫৭৩৫ বোয়িং বিমানটি। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখা যায়, নির্দিষ্ট গতিপথ ছেড়ে দ্রুতগতিতে নীচের দিকে নেমে আসছে বিমানটি। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে একাধিকবার বিমানের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, ওপার থেকে কোনও জবাবই আসেনি।
বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়, জঙ্গল থেকে বেশ কিছু পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাকবক্সের এখনও খোঁজ মেলেনি। তবে ভারী বৃষ্টির জেরে পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ধারকার্যে সমস্যা হচ্ছে। ভূমিধসের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, বুধবার উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাকবক্সের ভয়েস রেকর্ডার ইতিমধ্য়েই যাচাইয়ের জন্য বেজিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ব্ল্যাকবক্সটি ঠিকঠাক থাকায় দ্রুত দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Joe Biden on Russia: ‘ন্যাটোও যোগ্য জবাব দেবে যদি…’, পুতিনকে কী নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন?