Joe Biden on Russia: ‘ন্যাটোও যোগ্য জবাব দেবে যদি…’, পুতিনকে কী নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন?
Russia-Ukraine Conflict: প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ইউক্রেনের উপরে বিনা প্ররোচনায় যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার কড়া জবাব দিতেই রাশিয়ার সমস্ত আন্তর্জাতিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরেই যাতে এই অনুদান বন্ধ থাকে, তার জন্যই ন্যাটোর এই জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
ব্রাসেলস: টানা এক মাস ধরে ইউক্রেনের (Ukraine) উপরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া (Russia)। গোটা বিশ্বের তরফেই যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনও লাভ হচ্ছে না তাতে। এবার রাশিয়াকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। গতকালই তিনি ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে যান। সেখানেই দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনের উপরে রাসায়নিক অস্ত্র (Chemical Weapon) ব্যবহার করে, তবে তার যোগ্য জবাব দেবে ন্যাটো বাহিনী (NATO)।
বৃহস্পতিবারই পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ় দুদার সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েই দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলোচনা হয়। অন্যদিকে, ব্রাসেলসে ন্যাটোর বিশেষ সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছিল গতকাল। সেখানেও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং ইউক্রেনকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে ন্যাটো বাহিনী, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ন্যাটোর বৈঠক শেষের পরই জো বাইডেন বলেন, “যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের উপরে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তবে তার যোগ্য জবাব দেবে ন্যাটো বাহিনী। কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছেন ওনারা (রাশিয়া) বা সেই অস্ত্রের প্রভাবই বা কতটা, তার উপরই আমাদের অস্ত্রের প্রকৃতিও নির্ভর করবে।”
প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ইউক্রেনের উপরে বিনা প্ররোচনায় যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার কড়া জবাব দিতেই রাশিয়ার সমস্ত আন্তর্জাতিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরেই যাতে এই অনুদান বন্ধ থাকে, তার জন্যই ন্যাটোর এই জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। জো বাইডেন বলেন, “অনুদান বন্ধ করায় রাশিয়ার সমস্য়া বাড়ছে। আমি ন্যাটোর এই বৈঠক ডেকেছি যাতে এক মাস বাদেও এই অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্তই জারি রাখা হয়। শুধুমাত্র পরের মাসের জন্য, আগামিদিনগুলিতেও, কমপক্ষে এক বছরের জন্য এই সিদ্ধান্ত জারি রাখা হয়। এভাবেই ওকে (ভ্লাদিমির পুতিন) আটকাতে হবে।”
উল্লেখ্য়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপরই আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ একাধিক দেশ রাশিয়ার আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেয়। এর জেরে বড় ধাক্কা খায় রাশিয়ার অর্থনীতি। গতকালও ওয়াশিংটনের তরফে নতুন করে অনুদান বন্ধের ঘোষণা করা হয়।