AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নেওয়ার বার্তা, উদ্বেগ বাড়ালেন শি জিনপিং

লাদাখের সীমান্ত এখনও থমথমে। কখনও ট্যাংক, কখনও যুদ্ধবিমান এগিয়ে আসছে চিন

'যুদ্ধের প্রস্তুতি' নেওয়ার বার্তা, উদ্বেগ বাড়ালেন শি জিনপিং
উৎসবের প্রাক্কালে বার্তা দিলেন জিনপিং
| Updated on: Feb 08, 2021 | 7:33 PM
Share

বেজিং: ভারত-চিন সীমান্ত এখনও থমথমে। সেনা স্তরে রাউন্ডের পর রাউন্ড বৈঠক হয়ে কিছুটা পিছিয়েছে চিনের সেনাবাহিনী। তবে লাদাখ এখনও সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নয়। এরই মধ্যে চিনা প্রেসিডেন্টের বার্তা নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

সামনেই চিনের নববর্ষের উৎসব। আর সেই সময় চিনের সেনাবাহিনী যাতে প্রস্তুত থাকে, সেই বার্তাই দিয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, “উৎসবের মরশুমে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে হবে, যাতে সাধারন মানুষ সুরক্ষিত থাকে ও তাদের খুশি বজায় থাকে।” চিনের সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই বার্তা আসলে ভারতের সীমান্তে থাকা বাহিনীর জন্য তো বটেই, পাশাপাশি দক্ষিন চিন সাগরের দিকে থাকা চিনের নৌবাহিনীকেও দেওয়া হয়েছে ওই বার্তা। নববর্ষের প্রাক্কালে পিপলস লিবারেশন আর্মির এয়ার ফোর্স ইউনিটের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে একথা বলেন শি জিনপিং। আরও জানা গিয়েছে যে, তিনি বলেছেন, আধুনিক যুদ্ধের যা ধরন তাতে তথ্য হাতে থাকাটাই সব থেকে বড় অস্ত্র।

আরও পড়ুন: ৮ হাজারের ওপর ক্লাবকে ৮৩ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

শুধু এই বার্তাই নয়, সাম্প্রতিক আরও বেশ কিছু খবরেও উদ্বেগ বেড়েছে। চিনের কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ভারতের সীমান্তে কিছু নতুন অস্ত্র বেজিং মোতায়েন করতে চায়। হিম শীতল সীমান্তের সেই রণক্ষেত্রে বাহিনীর জন্য বেশ কিছু সামগ্রীও চিন দ্রুত পাঠাচ্ছে বলে খবর।

চিনের এই উৎসব ‘স্প্রিং ফেস্টিভ্য়াল’ বলে পরিচিত। এটি চিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই সময় ভিন দেশে থাকা বহু চিনা নাগরিক বাড়ি ফেরে। ছুটি থাকে চিনের প্রায় সব দফতর।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ডাকাতির নয়া ফন্দি! পিপিই কিট পরে সোনা দোকানে লুঠপাট

গত মে মাস থেকে লাদাখে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এরপর একের পর এক বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষের। গত ২৪ জানুয়ারি সামরিক বৈঠকের পর ভারত ও চিন দুই দেশ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে বৈঠকের সাফল্যের বিষয়ে আশা প্রকাশ করে। কিন্তু তারপরেও শান্তি ফেরেনি সীমান্তে। মলদো সীমান্তে নবম দফার ওই সামরিক বৈঠক চলেছিল প্রায় ১৬ ঘন্টা। কিন্তু তারপরেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি।

চলতি মাসেই দেখা যায় লাদাখ সীমান্তে এলএসির কাছে এসে পৌঁছেছে প্রায় ৩৫০টি ট্যাঙ্ক। সাউথ ব্যাঙ্ক, ডেসপাং-সহ একাধিক জায়গায় ট্যাঙ্ক মজুত করেছে বেজিং।