
বেজিং: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘দাদাগিরি’। কখনও বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। কখনও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনার জন্য বিভিন্ন দেশকে বার্তা দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে একজোট হচ্ছেন ২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্রনেতারা। আগামী সপ্তাহে চিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন(SCO) সম্মেলন রয়েছে। সেই সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিয়ানজিনে ৩১ অগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর SCO সম্মেলন রয়েছে। মধ্য এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের সেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই সাত বছর পর চিনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস(BRICS) সম্মেলনে একসঙ্গে মোদী, পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে দেখা গিয়েছিল। গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসের আধিকারিকরা বলেছিলেন, তাঁরা আশা করছেন, খুব শীঘ্রই ভারত ও চিনের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
২০০১ সালে SCO প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি দেশ অংশগ্রহণ করবে। ২০০১ সালে SCO-র ছয়টি সদস্য দেশ ছিল। এখন তার স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। এবং ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে SCO-তে রয়েছেন। গত সপ্তাহে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলেছিলেন, “নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এই SCO ব্লক।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প যেভাবে ‘দাদাগিরি’ দেখানোর চেষ্টা করছেন, তাঁকে জবাব দিতেই SCO সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতারা একজোট হয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে SCO সম্মেলনেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে মোদী-পুতিন-জিনপিংয়ের।