
নয়া দিল্লি: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রতিদিন উঠে আসছে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে যেখানে তদন্তে উঠে এসেছিল হোয়াইট কলার মডিউলের নাম, দেখা গিয়েছে কীভাবে চিকিৎসকরাই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। এবার দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের দায় নিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রাক্তন ‘প্রধানমন্ত্রী’ আনোয়ারুল হক।
যেখানে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে গোটা বিশ্ব নিন্দায় সরব হয়েছে, সেখানেই পাকিস্তানের নেতা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিলেন যে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পিছনে তাদেরই হাত রয়েছে। চৌধুরী আনোয়ারুল হক। কট্টর ভারতবিরোধী হিসেবে পরিচিত রয়েছেন এই নেতা। দুই দিন আগেও তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বুধবার ওই নেতা রীতিমতো জোরালো দাবি করে বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, তোমরা যদি বালুচিস্তানে রক্ত ঝরাতে থাকো, তা হলে আমরা ভারতের কাশ্মীরের জঙ্গল থেকে শুরু করে লালকেল্লা পর্যন্ত প্রত্যাঘাত করব। আল্লাহর আশীর্বাদে আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। ওরা এখনও মৃতদেহ গুনে চলেছে!”
পাকিস্তান এই বিষয় নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি, তবে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ফের একবার ক্ষমতার আস্ফালন দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন যে ইসলামাবাদ কখনওই ভারতের সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারে না, তাই পাকিস্তান সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে সামা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেছেন, “আমরা ভারতকে এড়িয়ে যাচ্ছি না আবার বিশ্বাসও করছি না। আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে পুরদমে যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারি না, তাই সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অন্দরে জন্মলগ্ন থেকেই পৃথক বালোচিস্তানের দাবি উঠে আসছে। সম্প্রতি বালুচ লিবারেশন আর্মি কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে পাক সেনার উপরে হামলা চালাচ্ছে। বালোচিস্তানের এই অশান্তির জন্য পাকিস্তা আবার ভারতকে দোষারোপ করছে। যদিও নয়া দিল্লি জানিয়েছে, এটা পাকিস্তান নিজের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ থেকে সকলের নজর ঘোরানোর চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। বালোচিস্তানের অশান্তিতে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই।