নিউ ইয়র্ক: গত কয়েকদিন ধরেই আমেরিকায় (US) করোনা (Covid 19) সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রবল হারে। শেষ তিন দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষের বেশি, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। শুধু সংক্রমণই নয়, বহু মানুষ আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসাতালে, আর সেটা উদ্বেগ বাড়িয়েছে মার্কিন মুলুকে। বিশেষত লুজিয়ানা, ফ্লোরিডা বা আরকানসাসের মতো শহরে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। গত ৬ মাসের মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৮ শতাংশ। আরকানসাসেই মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতির জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বড় অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ফ্লোরিডাতেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা গত ৮ দিন ধরে রেকর্ড তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, অনেক শিশুকেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে সে দেশে। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, শিশুদের অসুস্থতা বাড়ার জন্য দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই।
আমেরিকার অস্টিন শহরে দেখা গিয়েছে মাত্র ছ’টি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে। সংক্রমণ কতটাল গুরুতর, তা দেখেই ভর্তি নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতালগুলি। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে এমনই শোচনীয় পরিস্থিতির মুখে পড়েছে অস্টিন শহর। শনিবারই স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে আর জায়গা নেই। খালি রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি বেড।
জুন মাসের শেষের দিকেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল গড়ে ছিল ১১ হাজারের আশেপাশে। আর এখন সেই সংখ্যাই বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষের বেশি। জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে দৈনিক ১ লক্ষ নয়া করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল আমেরিকায়। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় আড়াই লক্ষে। জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসে। কিন্তু ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়ার পরও গড় আক্রান্ত ১ লক্ষ ছাড়াচ্ছে। আরও পড়ুন: ফুঁসবে সমুদ্র, দাবদাহে পুড়বে বিশ্ব! ‘ভয়ঙ্কর’ ভবিষ্যতের জন্য মানুষকেই দায়ী করল রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট