ফুঁসবে সমুদ্র, দাবদাহে পুড়বে বিশ্ব! ‘ভয়ঙ্কর’ ভবিষ্যতের জন্য মানুষকেই দায়ী করল রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট

IPCC Report on Climate Change: প্রবল বন্যা কিংবা মারাত্মক খরা, এমন ঘটনা পরপর ঘটবে পৃথিবীতে।

ফুঁসবে সমুদ্র, দাবদাহে পুড়বে বিশ্ব! 'ভয়ঙ্কর' ভবিষ্যতের জন্য মানুষকেই দায়ী করল রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2021 | 4:03 PM

ওয়াশিংটন: পৃথিবীর ভবিষ্যতের ছবি যে খুব একটা সুখকর নয়, তা নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন গবেষকরা। নিত্যদিন সুপার সাইক্লোন কিংবা দাবানল সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করেছে। তবে পৃথিবী যে ক্রমশ বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে, সেই ই্ঙ্গিত আরও প্রকট হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে।  সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তনের সেই রিপোর্ট (Climate Change 2021)। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের গবেষণার প্রেক্ষিতে উঠে আসা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে আগামী দু’দশকের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়বে দেড় ডিগ্রি। আর এই পরিস্থিতির জন্য যে মানুষই সম্পূর্ণভাবে দায়ী, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এর আগে ২০১৩ তে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল।

আইপিসিসি রিপোর্ট:

প্রতি সাত বছর অন্তর এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। গত দু’সপ্তাহ ধরে এই রিপোর্টের জন্য কাজ করেছেম ১৯৫টি দেশের বিশেষজ্ঞরা। ওই সব দেশের দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে ২৬ জুলাই থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনা শুরু হয়। তার ভিত্তিতেই এই সার্বিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

ধরিত্রীর গড় তাপমাত্রা বাড়বে ১.৫ ডিগ্রি:

বিশ্ব জুড়ে উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং যে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, সেই সম্ভাবনার কথা আগেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এ ভাবে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, এমন রিপোর্ট এই প্রথম দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল। জানা গিয়েছে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়বে ১.৫ ডিগ্রি। প্রতিটি দেশেই গ্রীষ্মকালের স্থায়িত্ব বাড়বে, শীতকালের স্থায়িত্ব কমবে। প্রভাব পড়বে মানুষের স্বাস্থ্যে ও কৃষিকাজে।

বাড়বে বৃষ্টি, বাড়বে খরা, চরম আবহাওয়া দেখবে পৃথিবী:

অতি ভারী বৃষ্টিতে সব কিছু ভেসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি বাড়বে। যে ধরনের বৃষ্টি এক দশকে একবার হয়, সেটা এ বার আরও বাড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এই ধরনের বৃষ্টি হবে আগের থেকে ১.৩ গুন বেশি। বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে ৬.৭ শতাংশ। অন্যদিকে প্রবল খরাও নাভিশ্বাস তুলবে মানুষের। যে ধরনের খরা বা জলাভাব ১০ বছরে একবার দেখা যায়, তা এ বার ৫-৬ বছর অন্তরই দেখা যাবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

বাড়বে সমুদ্রের জলস্তর:

একবিংশ শতাব্দী জুড়ে ক্রমশ বাড়বে সমুদ্রের জলস্তর। যার জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় উত্তরোত্তর বাড়বে বন্যা। ১০০ বছরে একবার সমুদ্রের যে রূপ দেখা যেত, এই শতাব্দী শেষে প্রতি বছর সেই রূপ দেখা যাবে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ! হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হল বিজেপি কর্মীর অসুস্থ স্ত্রীকে