ঢাকা: আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? না, এমন কথা মোটেই বলেনি ভারত। তবে, ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। কেবল ভয় পাচ্ছে বললে বোধ হয় সঠিকভাবে বর্ণনা করা হয় না। তারা আসলে ভয়ে কাঁটা। কৃত কর্মের ফল ভাল নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কি এবার ছদ্ম সাহস দেখাতে গিয়ে হুমকির পথে হাঁটছে ভারতের পূর্বের প্রতিবেশি, উঠছে প্রশ্ন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হলে পরিণতি ভাল হবে না, এমন আশঙ্কা থেকে এবার ভারতকে হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি ক্যাম্পে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গীরা। শহিদ হন ১৯ ভারতীয় জওয়ান। সেই হামলার জবাবেই ২৮ সেপ্টেম্বর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথে হেঁটে পশ্চিমের প্রতিবেশীকে সবক শেখায় ভারত।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা অত্যাচার চালাচ্ছে তা নিয়ে আগেই সে দেশকে হিংসা রোখার কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত সরকার। তবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা কখনও বলা হয়নি ভারতের পক্ষ থেকে। তবুও বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মতো মহলগুলি থেকে বারংবার উঠে আসছে পাকিস্তানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ। তবে কি ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে প্রবলভাবে আলোচিত তথাকথিত ছাত্র সমন্বয়করা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কট্টরপন্থী ছাত্রদের ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ ভারতকে হুমকি দিচ্ছে। তাও আবার রাখঢাক করে নয়, একেবারে সংবাদিক সম্মেলন করে হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন ‘ইনকিলাব মঞ্চের’ আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে,”ভারত পাকিস্তানের মতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।” তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি ভারত বাংলাদেশে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার জন্য তাঁদের সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে। শক্তি জোরদার করছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য। আমি ইনকিলাব মঞ্চ থেকে ভারতের কাছে অনুরোধ জানাই আল্লার ভাস্তে বাংলাদেশের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালান। আর যদি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় বিশ কোটির ছাত্র জনতা, ভারতের কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেবে।”
বাংলাদেশ থেকে এমন মন্তব্য ভেসে এলেও, এ বিষয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত ব্যক্ত করেনি নর্থ ব্লক। তবে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যা চলছে তাতে খোদ বাংলাদেশিরাই যে প্রমাদ গুণছেন তা স্পষ্ট এমন আশঙ্কা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে।