Bangladesh: এর মধ্যে বাংলাদেশ যেতে হলেও এই কয়েকটা জায়গায় ভুলেও যাবেন না, কড়া নির্দেশ এল আমেরিকা থেকে
Bangladesh: শুক্রবারই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ করা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। সেখানে অস্থিরতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদের মতো ঘটনা ঘটছে।

ওয়াশিংটন: মুখোশ খুলে যাচ্ছে ইউনূস সরকারের। বাংলাদেশের আসল পরিস্থিতি কী, তা গোটা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট। সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বললেও, ফের সামনে এসেছে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের ছবি। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে হিন্দু নেতাকে। এই ঘটনার পরই বড় পদক্ষেপ করল আমেরিকা সরকার। সে দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করা হল।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। ছড়িয়েছে হিংসা, অভিযোগ উঠেছে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভ্রমণ নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছিল সে দেশের সরকার। এবার আরও কড়া বিধি সতর্কতা জারি করল ট্রাম্প সরকার।
শুক্রবারই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ করা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। সেখানে অস্থিরতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদের মতো ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশের জন্য লেভেল-৩ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অংশ, যেমন খাগরাচারি, রাঙামাটি, বান্দারবন পার্বত্য এলাকার মতো বেশ কিছু জায়গায় ‘লেভেল-৪’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লেভেল-৪ সতর্কতা হল ‘ডু নট ট্রাভেল’ অর্থাৎ না যাওয়ার সতর্কবার্তা।
মার্কিন সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক হিংসা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ ও নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। তাই এই জায়গাগুলিতে মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণ করতে বারণ করা হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে গুলি চলা, আইইডি বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটছে বলেই সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সরকার বদলের পরই মার্কিন সরকার ফেডেরাল কর্মীদের কূটনৈতিক সফর ছাড়া অন্য কোনও প্রয়োজনে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে বারণ করা হয়েছিল। ঢাকার বাইরে ভ্রমণের জন্য বিশেষ অনুমতির কথা বলা হয়েছিল। মার্কিন সাধারণ নাগরিকদেরও রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল থেকে দূরে থাকতে এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সবর্দা নজর রাখতে বলা হয়েছিল।





