ওয়াশিংটন: মার্কিন নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে হেরেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নিজেকেই জয়ী প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও আদালতের রায়ই যায়নি রিপাবলিকানদের পক্ষে। যারে জেরে মুখ থুবড়ে ট্রাম্পের সব অভিযোগ। এরপর ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের ভিত্তিতে মার্কিন কংগ্রেসও জয়ী হিসাবে মান্যতা দেয় জো বাইডেনকে। তারপর পরাজয় স্বীকার করেন ট্রাম্প। কিন্তু কখনই অভিনন্দন জানানি নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।
সেই বরফ গলল শপথ গ্রহণের দিনই। অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানালেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কার্যত ক্ষমতার একেবারে শেষ লগ্নে এসে বাইডেনের সাফল্য ‘কামনা’ করতে বাধ্য হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। লাগাতার চাপ বাড়ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর। হাউসে ইতিমধ্যেই পাশ হয়েছে তাঁর ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। সেনেটেও ট্রায়ালের মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে।
সেনেটে যদি প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। তাহলে কার্যত রাজনীতিবিদ হিসাবে ট্রাম্পের ক্যারিয়ারে ইতি ঘোষণা হয়ে যাবে। আর কোনও দিন নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে কথা আন্দাজ করতে পেরেই সুর নরম করছেন ট্রাম্প। কিন্তু অভিনন্দন জানালেও একবারও নিজের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের নাম মুখে নিলেন না তিনি।
আজ থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঐতিহাসিক এই শপথ গ্রহণকে ঘিরে ওয়াশিংটন জুড়ে কড়া নিরাপত্তা। জাতীয় রক্ষী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা ওয়াশিংটন। মার্কিন ক্যাপিটলে ট্রাম্পপন্থীদের হামলার পর, আরও সতর্ক মার্কিন প্রশাসন। তাই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনও খামতি রাখতে নারাজ ট্রানজিসন টিম। তবে শেষলগ্নেও সপ্রতিভ ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: মৃত ছেলেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওয়াশিংটনে প্রবেশ বাইডেনের
নিজেই নিজেকে ক্ষমা করবেন তিনি, এই জল্পনাও দেখা দিয়েছিল ট্রাম্পকে ঘিরে। তবে নিজেকে ক্ষমা করলেন না তিনি। সেই বিতর্কে না জড়িয়ে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থীদের তালিকায় ঢোকালেন আরও প্রায় ১০০ জনকে। সে দেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের সেই তালিকায় রয়েছে ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন ব্যানন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, এডওয়ার্ড স্নোডেনের নামও।