
ঢাকা: বাংলাদেশের এ কী রূপ! সম্প্রীতির লেশ মাত্র নেই, উল্টে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপরে অত্য়াচার বেড়েই চলেছে। সরাসরি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকার দুর্গামন্দির। ইউনূস সরকারের এই কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত সরকার। আর তারপরই তড়িঘড়ি সাফাই অন্তর্বর্তী সরকারের। দুর্গামন্দির ভাঙা নিয়ে কী বলছে বাংলাদেশ?
মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয় ঢাকার খিলখেত এলাকার দুর্গামন্দির। স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলেও, তাদের জোর করে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠতেই শুক্রবার বাংলাদেশের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়, রেললাইনের ধারে বেআইনিভাবে তৈরি একাধিক কাঠামোই ভেঙে ফেলা হয়েছে। মন্দির ভাঙার আগে কাছেই একটি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
ইউনূস সরকারের দাবি, গত বছর দুর্গা পুজোর সময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা বিনা অনুমতিতেই বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে ওই পুজো মণ্ডপ তৈরি করে। রেলওয়ে তখন অনুমতি দিয়েছিল এই শর্তেই যে দুর্গাপুজো শেষ হলে, তারা মণ্ডপ খুলে ফেলবে। তবে পরে পুজো উদ্যোক্তারা সেই মণ্ডপ খুলতে অস্বীকার করে এবং ওই মণ্ডপে মা কালীর মূর্তিও প্রতিষ্ঠা করে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রতিনিধি ও পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং বেআইনি নির্মাণ সরানোর জন্য নোটিস দেয়, যার মধ্যে শতাধিক দোকান ও একটি রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসও ছিল। গত ২৪ জুন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করে।
মন্দির ভাঙা নিয়ে তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে বাংলাদেশ সরকার বিবৃতিতে দাবি করেছে, মণ্ডপ ভাঙার আগে বালু নদীতে বিগ্রহগুলি বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে ভাঙা মণ্ডপের পাশে পড়ে রয়েছে ভাঙা বিগ্রহও।