Bangladesh: সম্প্রীতির সুর, আজান ও চণ্ডীমন্ত্র একসঙ্গে উচ্চারণ হচ্ছে বাংলাদেশে

Bangladesh: বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় সদর। উপজেলা গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে এই মাঠে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই মাঠেই মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন পড়েন নামাজ। এখানেই পালিত হয় দুর্গাপুজো।

Bangladesh: সম্প্রীতির সুর, আজান ও চণ্ডীমন্ত্র একসঙ্গে উচ্চারণ হচ্ছে বাংলাদেশে
সম্প্রীতির বাংলাদেশImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2024 | 7:46 PM

বাংলাদেশ: যে সময় বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। সেই সময় এই বাংলাদেশ দেখল অন্য নজির। বলা ভাল সম্প্রীতির নজির। বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির। পুজোও যেমন হল, নামাজও পাঠও হল তেমনভাবেই।

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় সদর। উপজেলা গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে এই মাঠে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই মাঠেই মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন পড়েন নামাজ। এখানেই পালিত হয় দুর্গাপুজো। বাধাবিপত্তি,বিধিনিষেধ ও ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু-মুসলিমরা পালন করেন নিজ নিজ ধর্ম ৷ এলাকাবাসী বলছে, নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক ঢোল সহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ থাকে। মসজিদে নামাজ শেষ হলে স্বাভাবিক হয় মন্দিরের কার্যক্রম। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলা হয় না। একে অপরকে সহযোগিতায় মিলিত হন সব উৎসবে। এখানে কোনও বিভেদ ও ঝামেলা ছাড়াই হিন্দু ও মুসলমানরা যে যার ধর্ম পালন করে আসছেন। দুর্গা পুজোর সময় ও ঢাক ঢোল নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। মসজিদ ও মন্দির কমিটির সমন্বয় করে যার যার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করেন।

এবারও এখানে পালিত হয়েছে দুর্গাপুজো। একপাশে মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীরা মণ্ডপে দেবী দুর্গার মণ্ডপ তৈরি করে করছেন পুজো-অর্চনা। অন্যদিকে, কিছুটা দূরত্বে মসজিদে মুসলমানরা পড়ছেন নামাজ। এভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে বাংলাদেশের এই এলাকা।