Bizarre: মেয়েকে মায়ের স্নেহ দিতে চান, লিঙ্গ বদলালেন ইকুয়াডরের ব্যক্তি

Gender Change: ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রীর। তাঁদের এক মাত্র মেয়ে থাকে স্ত্রীর কাছে। কিন্তু স্ত্রী তাঁর সঙ্গে মেয়ের দেখা করতে দেন না বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির। এমনকি স্ত্রীর ব্যাভিচারের ঠেলায় মেয়ে কষ্টে রয়েছে বলেও দাবি ওই ব্যক্তির।

Bizarre: মেয়েকে মায়ের স্নেহ দিতে চান, লিঙ্গ বদলালেন ইকুয়াডরের ব্যক্তি
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2023 | 5:41 PM

কুইটো: সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে নিজের জীবন দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান বাবা-মা। কিন্তু সন্তানের জন্য নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন এ রকম কথা শুনেছেন কখনও? সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ইকুয়েডরের এক ব্যক্তি। মেয়েকে কাছে পেতে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছেন তিনি। মেয়েকে পেতে পুরুষ থেকে স্ত্রী হয়েছেন। সেই ঘটনা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রীর। তাঁদের এক মাত্র মেয়ে থাকে স্ত্রীর কাছে। কিন্তু স্ত্রী তাঁর সঙ্গে মেয়ের দেখা করতে দেন না বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির। এমনকি স্ত্রীর ব্যাভিচারের ঠেলায় মেয়ে কষ্টে রয়েছে বলেও দাবি ওই ব্যক্তির। এর থেকে নিজের মেয়েকে মুক্তি দিতেই তিনি লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মেয়েকে মায়ের যত্ন তিনি দিতে চান বলে জানিয়েছেন।

লিঙ্গ পরিবর্তন করা ইকুয়েডরের ওই ব্যক্তির নাম রেনে সালিনাস রামোস। ৪৭ বছরের ওই ব্যক্তি ইকুয়েডরের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “সন্তানদের হেফাজতের ক্ষেত্রে আদালতের রায় বাবাদের তুলনায় মায়েদের পক্ষে বেশি থাকে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মেয়েকে কাছে পেতেই আমি লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছি। আমার প্রতিবাদ কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে।” সরকারি ভাবে সালিনাস নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছেন। এখন তিনি ‘ফেমেনিনো’। তার সব পরিতয়পত্রেই লিঙ্গের জায়গায় এটি উল্লেখিত হয়েছে।

এ বার বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি। এবং মেয়েকে নিজের কাছে রাখার জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। পাঁচ মাস তাঁর সঙ্গে তাঁর মেয়ের দেখা স্ত্রী করতে দেননি বলে অভিযোগ। তবে মেয়ের দায়িত্ব পেলে তা পালন করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী সালিনাস। তিনি বলেছেন, “আমি জানি আমার লিঙ্গ। আমি এখন মহিলা। মা হিসাবেও নিজের দায়িত্ব পালনে আমি সক্ষম। আমি মায়ের স্নেহ আমার মেয়েকে দিতে চাই।”