কয়েক ঘণ্টা পর সচল হল Facebook-Whatsapp-Instagram, কীসের বিভ্রাটে এমন বিপত্তি?
Mark Zuckerberg: বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করেন। শুধু ব্যক্তিগত কাজে নয়, কোনও সাংস্থার বা ব্যবসার কাজেও অনেকেই এই সব অ্যাপের ওপর নির্ভর করেন।
সংস্থার সিইও মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুকে জানিয়েছেন, ‘ফের অনলাইন হচ্ছে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার।’ তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি প্রিয় মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আপনারা আমাদের পরিষেবার কতটা নির্ভরশীল। আজকের এই ঘটনার জন্য দুঃখিত।’
সমস্যার কথা স্বীকার করা হয় হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের তরফেও। হোয়াটসঅ্যাপের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করে লেখা হয়, ‘আমরা বুঝতে পারছি বেশ কিছু মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি যাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়। সমস্যার সমাধন হলেও দ্রুত জানানো হবে।’
গতকাল রাতে এই সমস্যা শুরু হওয়ার পর টুইটার হয়ে ওঠে অন্যতম মাধ্যম। অনেকেই টুইটারে সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন। অনেকে মেসেজ পাঠানোর জন্য টেলিগ্রাম অ্যাপে অ্যাকাউন্টও খুলে ফেলেন। ইতিমধ্যেই ফেসবুকের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয় যে সংস্থার তরফে সব পরিষেবা ঠিক করার জন্য কতটা চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থার তরফ থেকে টুইটে লেখা হয়, ‘বিশ্বের বহু মানুষ ও ব্যবসা আমাদের ওপর নির্ভর করে। তাদের জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা আমাদের অ্যাপ ও পরিষেবা সচল করতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
কোথায় সমস্যা?
জানা গিয়েছে, ফেসবুকের ‘ডোমেন নেম সিস্টেম’ বা DNS-এ সমস্যা হয়েছিল। যদি ধরে নেওয়া হয় ডোমেনের নাম facebook.com, তাহলে সেই নামটিকে উপযুক্ত ইন্টারনেট অ্যাড্রেসে পরিবর্তিত করে এই ‘ডোমেন নেম সিস্টেম’। আর সেখানেই গোলমাল বাধায় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট তাদের মূল ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছিল না। তার জেরেই এ ভাবে সবকটি পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেন। তারপরই আবার পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই পরিষেবা ব্যাহত হয় গতকাল। ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এই তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নয়, সেই সঙ্গে কেনাকাটা করার, খাবার-দাবার অর্ডার করার, বা বিনোদনমূলক যে সকল অ্যাপ রয়েছে, সেগুলিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন হন নেটিজেনরা।